নিজস্ব প্রতিনিধি: জীবন যুদ্ধে বাঁচার লড়াইতে এক দুর্ঘটনা স্তম্ভিত করে দিয়েছে এলাকার সমস্ত মানুষকে। করোনার সংক্রমণের জেরে লকডাউন। আর তার ফলে কাজ হারিয়ে, ফুটবল মাঠে দাপিয়ে বেড়ানো দুই ফুটবলার নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে সবজি বিক্রি করার পথ বেছে নিয়েছিল। দুই বন্ধু মিলে সংসারকে বাঁচানোর তাগিদে ভোরবেলা উঠেই প্র্যাক্টিসে না গিয়ে মোটরবাইক নিয়ে চলে যেত শেওড়াফুলি পাইকারি সবজি হাটে। সেখান থেকে সবজি কিনে এসে বিক্রি করতো ব্যান্ডেল বাজারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- দেশ আগে নাকি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স? এবার বড় প্রশ্নের মুখে রোহিত শর্মা


ফুটবল মাঠেও তারা হার মানতে চায়নি। সফল ফুটবলার হিসাবে ঘরে ভর্তি হয়েছিল মেডেল। লকডাউনে কাজ হারিয়ে,সবজি বিক্রির লড়াইয়ে সফলতার আলো একটু একটু করে উদ্ভাসিত হচ্ছিল। সেই সময়ই ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। একজন চিরতরে বিদায় নিল এই জগৎ থেকে। অপরজন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। এলাকার মানুষ স্তম্ভিত, বুক ফাটা কান্নার চিৎকার ভেসে আসছে পরিবার থেকে। কিন্তু কেউই বুঝতে পারছেনা, কি বলে তাদের থামাবে! কারণ, সেই সফল ফুটবলার ছেলেটি তো আর ফিরে আসবে না। এযে শুধু ওই পরিবারের নয়, ব্যান্ডেল কৈলাশনগরের গর্ব ছিল এই দুই ফুটবলারকে নিয়ে।


সকালে ব্যান্ডেল কৈলাশনগরের ফুটবলার জয়ব্রত দেবনাথ, আর কেওটা টায়ারবাগানের বাপি বিশ্বাস, যখন শেওড়াফুলি থেকে কাঁচা বাজার নিয়ে ফিরছিল ব্যান্ডেলের উদ্দেশ্যে, চন্দননগরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তারা দুজন। মোটরবাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে রাস্তার পাশের একটি ডিভাইডারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জয়ব্রতর। চন্দননগর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে বাপি। খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোজগার হারিয়ে বাঁচার তাগিদে বাড়ি বাড়ি সবজি বিক্রির ব্যাবসা শুরু করেছিল দুই বন্ধু মিলে। শেওড়াফুলি হাট থেকে সস্তায় সবজি কিনে দুই বন্ধু মিলে যখন ফিরছিল, তখনই এই ঘটনাটি ঘটে। এদিনই প্রথম ধুবুলিয়ায় একটি খেলার ডাক পেয়েছিল জয়ব্রত। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মাকেও বলে গিয়েছিল, সবজি এনেই সে আবার খেলতে যাবে। তবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সব খেলাই বন্ধ হয়ে গেল জয়ব্রতর জীবন থেকে।