আইপিএলে কলকাতার হয়ে না খেলার আক্ষেপ যুবরাজের!
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরই ভারতীয় ক্রিকেটের আমূল পরিবর্তন ঘটে।
সুখেন্দু সরকার
আধুনিক ক্রিকেটে ভারতের উন্নতির পেছনে আইপিএলের অবদান অনস্বীকার্য। মহারাজের শহরে এসে জানালেন যুবরাজ। একই সঙ্গে আইপিএলে ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে খেললেও কখনও কেকেআরের হয়ে খেলা হয়নি যুবির। মঙ্গলবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে এসে একথাই জানালেন যুবরাজ সিং।
২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আইপিএলে ৬টি বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে খেলেছেন যুবরাজ সিং। কোনও দলেই তিনি সেভাবে দীর্ঘকালীন মেয়াদে খেলেননি। শুরু করেছিলেন নিজের শহর পঞ্জাব দিয়ে। তারপর হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, মুম্বইয়ের হয়েও খেলেছেন তিনি। সদ্য ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া যুবরাজ জানান, "আমার কাছে সত্যিই এটার কোনও ব্যাখ্যা নেই, যে আমি কোনও একটা নির্দিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে আইপিএলে খেলিনি। হায়দরাবাদ, মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে খেলার সময় দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মরশুম কেটেছে আরসিবি-তে বিরাটের দলে। বেঙ্গালুরুর সমর্থকরা দলের পাশে থাকেন।"
পাশাপাশি যে বছর বেঙ্গালুরুতে যুবরাজ যোগ দেন সেবার নিলামে বেঙ্গালুরু ও কলকাতার দারুন টক্কর হয়েছিল নিলামঘরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরসিবিতে খেলেন যুবরাজ সিং। সেই স্মৃতি চারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমি প্রায় কেকেআর-এ যোগ দিতে যাব, সেই মুহূর্তেই (নিলামে) আমি আরসিবি-তে যোগ দিই। আমার সেরা আইপিএল মরশুম কেটেছে আরসিবিতেই। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমি কেকেআর-এর হয়ে একবারও খেলিনি।"
সেই সঙ্গে যুবি জানান, ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরই ভারতীয় ক্রিকেটের আমূল পরিবর্তন ঘটে। পাশাপাশি ২০০৭ সালে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের গ্রুপ স্টেজ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বিশ্ব ক্রিকেটে নতুনভাবে ফিরে আসে ভারত। সেই সঙ্গে তিনি বলেন আইপিএলের মাধ্যমেই দেশের তরুণ ক্রিকেটাররা বিশ্বের বিভিন্ন তারকা ক্রিকেটারদের সংস্পর্শে থেকে শেখার সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁর মতে, এই আইপিএল-ই ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতিতে বড় ভূমিকা নিচ্ছে।