নিজস্ব প্রতিবেদন- তাঁর দাবিতে তোলপাড় হয়েছিল বিশ্ব ক্রিকেট। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া দাবি করেছিলেন, তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলেই তাঁর সঙ্গে সতীর্থ ক্রিকেটাররা এক টেবিলে বসে খাবার খেতেন না। ক্রিকেট জীবনে তাঁকে অনেক অবমাননার শিকার হতে হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। আর তিনি হিন্দু বলেই পাকিস্তানে তাঁকে অনেক অপমান সহ্য করতে হয়ে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রী বরাবর দাবি করে এসেছেন, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের কোনও সমস্যা নেই। তাঁরা ভালই আছেন। আরও একবার পাকিস্তানের হিন্দু ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া দাবি করেছেন, তিনি হিন্দু বলেই তাঁর উপর সবরকম আইন ফলানো হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি উমর আকমলের শাস্তির মেয়াদ কমিয়েছে পিসিবি। তিন বছরের জন্য তাঁকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল পাক বোর্ড। দুটি আলদা ক্ষেত্রে পিসিবির অ্যান্টি কোরাপশন কোড ভঙ্গ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে ১৮ মাস করা হয়েছে। আর তারপরই চটেছেন কানেরিয়া। তিনি বলেছেন, ''যত আইন তা হলে আমার জন্যই! আমার জন্যই শুধুমাত্র জিরো টলারেন্স পলিসি থাকবে! বাকিদের জন্য আলাদা পলিসি! কেউ বলতে পারবে কেন আমাকেই শুধুমাত্র আজীবনের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হল! কেন অন্যদেরও একই দোষে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হল না! পলিসি কি জাত, গায়ের রং ও ক্ষমতা দেখে করা হয়! আমি একজন হিন্দু। আর আমি তা নিয়ে গর্বিত।''


আরও পড়ুন-  আপনার বয়স কত? ফোন নম্বর দিন, প্রশ্ন শুনে ঘাবড়ে গেলেন আফ্রিদি, উত্তরও দিলেন


এর আগেও অনেকবার কানেরিয়া তাঁর উপর হওয়া অবিচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তবে পিসিবি তাঁর কথায় কান দেননি। ক্রিকেটার হিসাবে ফেরার আর সুযোগ নেই তাঁর। কানেরিয়া কোচ ও ধারাভাষ্যকার হিসাবে ফিরতে চান। তা ছাড়া তাঁর আর্থিক অবস্থা ভাল নয় বলেও বারবার দাবি করেছেন তিনি। তবে পিসিবি তাঁকে জানিয়েছে, তাঁর নির্বাসনের শাস্তি তারা তুলতে পারবে না। সেক্ষেত্রে কানেরিয়াকে ইসিবি-র দরজায় টোকা দিতে হবে। কারণ ইংল্যান্ডে স্পট ফিক্সিং করায় তিনি নির্বাসিত হয়েছিলেন। যদিও ইংল্যান্ডে মহম্মদ আমিরও ফিক্সিং করে ধরা পড়েছিলেন। তিনি শাস্তি ভোগ করে মাঠে ফিরেছেন। কিন্তু কানেরিয়া পারেননি।