নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনের (Farmers Protest) আঁচ এবার পৌঁছে গেল এ রাজ্যেও। নয়া ৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাজ্য জুড়ে একযোগে চাক্কা জ্যাম (Chakka Jam) কর্মসূচি পালন করল কংগ্রেস ও বামেরা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই চলল পথ অবরোধ-বিক্ষোভ। বর্ধমানে জাতীয় সড়কে অবরোধের জেরে আটকে পড়ল ২ মন্ত্রীর কনভয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শেষপর্যন্ত নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার কি করবে কেন্দ্রীয় সরকার?  ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কয়েক লক্ষ কৃষক।  ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর মিছিলের পর এদিন যখন রাজধানীতে চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করলেন আন্দোলনকারীরা, তখন এ রাজ্যেও পথে নামল কংগ্রেস ও বামেরা। কোথাও জাতীয় সড়ক, তো কোথাও রাজ্যে সড়ক অবরোধ করে চলল বিক্ষোভ।


আরও পড়ুন: ধর্ষণে এগিয়ে বাংলা, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে কোনও সুরক্ষা নেই মেয়েদের : Nadda


এদিন পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদে নবনির্মিত দমকলকেন্দ্রের উদ্বোধন করতে যাচ্ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথেরও (Swapan Debnath)। সকালে প্রায় কাছাকাছি সময়েই গন্তব্যের উদ্দেশ্য় রওনা দিয়েছিলেন দুই মন্ত্রী। কিন্তু ততক্ষণে স্থানীয় নবাবগঞ্জ মোড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করে দিয়েছেন কৃষক সভার সদস্যরা। অবরোধে জেরে প্রথমে আটকে পড়ে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর কনভয়। মন্ত্রীকে ঘেরাও করে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। কোনওরকমে কনভয়টি পার করিয়ে দেয় পুলিস। এর কিছুক্ষণ পরেই ২ জাতীয় সড়ক ধরে যেতে গিয়ে ফের নবাবগঞ্জ মোড়েই আটকে পড়ে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের কনভয়ও। এবার পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। ধাক্কাধাক্কি করাই শুধু নয়, মন্ত্রীর গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে 'চালচোর' স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। চেষ্টা করেও কনভয়টিকে পার করাতে পারেনি পুলিস। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক আটকে থাকতে হয় স্বপন দেবনাথকে। শেষপর্যন্ত অবরোধ উঠলে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। 


স্রেফ বর্ধমানেই নয়, কৃষকদের সমর্থন জানিয়ে এদিন আসানসোল শিল্পাঞ্চলেও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ। এই কর্মসূচিতে সামিল হন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরাও। একই ছবি দেখা গিয়েছে হাওড়া , উলুবেড়িয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে। বীরভূমের বোলপুর শহরের যৌথভাবে পথ অবরোধ করে কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্ব। রামপুরহাটে  রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।



আরও পড়ুন: CAA নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিতে ঠাকুরনগরে Amit Shah, দিনক্ষণ জানালেন শান্তনু ঠাকুর


বাম ও কংগ্রেসের এই চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি থেকে বাদ যায়নি উত্তরবঙ্গও। উত্তর দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের পতিরামে, এবং বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে আলাদাভাবে পথ অবরোধ করে সিপিএম ও তৃণমূল। এক ঘণ্টার এই অবরোধে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। আটকে দূরপাল্লার গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক। চাক্কাজ্য়াম কর্মসূচি পালিত হয় শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে।