নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কমে গেছে। পথ নিরাপত্তার কারণে তাই ধীর গতিতে এগোচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সের চাকা। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে যে গর্ভযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন প্রসূতি! হাসপাতালে পৌঁছতে তখনও ঢের দেরি... এর মধ্যেই হঠাত্ কান্নার শব্দ! কী ব্যাপার! প্রসূতির যন্ত্রণা তখন খানিক কমেছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা গেল, এসেছে নতুন শিশু! তবে এ ঘটনা শুধু একবারই ঘটেনি। ধূপগুড়ি এলাকায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে মোট দু'বার এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে অ্যাম্বুলেন্স। এদিন দু'জন পৃথক প্রসূতির ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে। জন্ম হয়েছে ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের। সুস্থ আছেন মায়েরা ও সন্তানরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধূপগুড়ির এই ঘটনা এখন মুখে মুখে ফিরছে লোকের। তবে জেলা প্রশাসন তরফ থেকে দৃশ্যমানতা কমে যাবে বলে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।


বৃহস্পতিবার রাত ২ টো নাগাদ প্রসব এর খবর পেয়ে ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে নাথুয়া এলাকায় যায় একটি অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু প্রসূতিকে নিয়ে হাসপাতাল অভিমুখে রওনা দিয়ে পথে ঘন কুয়াশার কারণে আস্তে আস্তে এগোতে থাকেন অ্যাম্বুলেন্স চালক। এদিকে, পথেই প্রসব বেদনা ওঠে প্রসূতির। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়িতেই একটি শিশু কন্যার জন্ম দেন দীপালি রায় অধিকারী।



নিজস্ব ছবি- দীপালি রায় অধিকারী।


আবার ভোর ৪টে নাগাদ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি! সে সময় কুয়াশা আরও ঘন। ধূপগুড়ি পূর্ব আলতাগ্রাম থেকে শেরিনা পারভিন কে নিয়ে আসার সময় পথেই জন্ম হয় ১ পুত্র সন্তানের।



নিজস্ব ছবি- শেরিনা পারভিন


দুই পরিবারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে সুস্থ রয়েছে দুজন মা ও শিশু। এই ঘটনার কথা শুনে একথা বলাই যে, গাড়ি দেরি করলেও, দুই নতুন প্রাণ আক্ষরিক অর্থেই 'পাংচুয়াল'। তারা এসেছে সঠিক সময়ে...