নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ ২০ মাস পর স্কুল খুলল আজ। স্কুল খোলায় উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারা। সেই চেনা ক্লাসরুম, চেনা বন্ধুদের সঙ্গে আবার আড্ডা। কিন্তু, না! সবার গল্পটা ঠিক একরকম নয়। চেনা ছন্দের মাঝেই কিছু কিছু 'উলটপুরাণ' ঘটে যায়। জলপাইগুড়ির রোহিত ও সায়নের গল্পটাও ঠিক সেইরকমই। স্কুল খুললেও দুই বন্ধুর কেউ-ই আর স্কুলে ফিরে যেতে চায় না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আসলে দুই বন্ধুর পরিবারেই রয়েছে আর্থিক অনটন। দশম শ্রেণির ছাত্র রোহিত তন্ত্র ও সায়ন তন্ত্র দু'জনেই বন্ধু। একসঙ্গে ওঠা-বসা, খেলতে যাওয়া। দু'জনেরই বাড়ি জলপাইগুড়ি শহরে। করোনা আবহে স্কুল বন্ধ হওয়ার পর, দুই বন্ধু-ই গ্যারেজের কাজ রপ্ত করে। একসঙ্গেই দু'জনে কাজ শিখতে ঢোকে শহরের দিনবাজার ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন একটি গ্যারেজে। প্রায় দু'বছরে বেশ ভালো কাজ শিখে নেয় দুই বন্ধু-ই। আয়ও হচ্ছে ভালো-ই। নিজেদের উপার্জনের টাকা দিয়ে চলছে সংসারও।


খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বছর দুয়েক আগে জলপাইগুড়ি শহরের সোনাউল্লা স্কুলের ছাত্র সায়নের বাবার মৃত্যু হয়। বাড়িতে দাদা-দিদি থাকলেও সংসারের প্রয়োজনেই তাঁর কাজ শেখাটা জরুরি বলে মনে করেছিল সে। সেইজন্যই সে কাজ শিখেছিল। অন্যদিকে রোহিত তন্ত্র শহরের আনন্দ মডেল স্কুলের ছাত্র। তাঁর বাবার আয় সেরকম নেই। তাই সেও পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতির কথা ভেবেই গ্যারেজের কাজ শেখে।


আজ তাই দীর্ঘ সময় পর স্কুল খুললেও তাঁরা আর কাজ বন্ধ করে স্কুলে ফিরে যেতে চান না। করোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষের জীবন কীভাবে বদলে গিয়েছে, এঘটনা তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যেন। আরও পড়ুন, Nadia: জমি অধিগ্রহণ নিয়ে তোলপাড়, সিঙ্গুরের ধাঁচে আন্দোলনে নদিয়ার মঙ্গলদীপের কয়েকশো চাষী


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)