নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষ। নাভিশ্বাস উঠছে আট থেকে আশির। কিন্তু এই লকডাউনের সুযোগেই শান্তিতে, নির্বিঘ্নে চুটিয়ে প্রেম করছে ওরা। মানুষের ভালোবাসা অথবা অত্যাচার দুটোর জেরেই নাজেহাল ছিলো ওরা। নিজেদের ব্যক্তিগত মুহুর্তও কাটাতে পারত না। এবার লকডাউনে পরিবার পরিকল্পনায় মেতে উঠেছে ওরা। করোনা মনুষ্যকুলের কাছে অভিশাপ হয়ে দেখা দিলেও, ওদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওরা সবাই ঝাড়গ্রাম জুওলজিক্যাল পার্কের সদস্য। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঝাড়গ্রাম জুওলজিক্যাল পার্কের প্রায় সমস্ত সদস্যদের পরিবারেই নতুন অতিথির আগমন হয়েছে। দীর্ঘ চেষ্টার পরও পার্কের যে সমস্ত পশু-পাখির শাবক হয়নি, এই লকডাউনে তারাই এক বা একাধিক সন্তান প্রসব করেছে। পার্ক সূত্রে খবর, চিতাবাঘ হর্ষিনি একটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। তবে সে এতটাই সাবধানী যে ঘন ঘাসের ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে রাখছে শাবককে। এমু পাখি, যা গত ৫ বছরে একটাও ডিম দেয়নি, এবার প্রথম ২টি ছানা দিয়েছে। সিলভার ফিজান্ট, গোল্ডেন ফিজান্ট, কালিজ ফিজান্ট, রেড জঙ্গল ফাউল, প্রত্যেকেরই পরিবারে নতুন সদস্য এসেছে। সংখ্যাটা ২ থেকে শুরু করে ১২ পর্যন্ত। এছাড়া হরিণ, নীলগাইদের পরিবারে নতুন সদস্যের কথা তো না হয় ছেড়েই দিলাম। পার্কে এরপর জায়গা কম পড়বে বলেই মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা পার্ক জুড়েই এখন খুশির হাওয়া। 


পার্কের এই সদস্যদের যাঁরা কোলে পিঠে করে মানুষ করেন, তাঁরা ও পার্কের সুপারভাইজার বেজায় খুশি। সুপার ভাইজার বলেন, "লকডাউনে তাঁদের সমস্যা হলেও এর জন্যই পার্কের সমস্ত পশু-পাখির বাচ্চা হচ্ছে। এটা দারুণ ব্যাপার।" ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলৈচ্চ বলেন, "এমনিতেই এখানে অনেকটাই ন্যাচারাল পরিবেশ পায় পশুপাখিরা। আর এখন কোনও ডিস্টার্ব না থাকায় তাদের মেটিংয়ের সুবিধা হচ্ছে।" পশু চিকিৎসক চঞ্চল দত্ত বলেন, "এখন উপযুক্ত পরিবেশ। আগামী দিনে দর্শকদের কাছে অনেক নতুন আকর্ষণ থাকবে। লকডাউনে মানুষের সর্বনাশ হলেও ডিয়ারপার্কের সদস্যদের প্রেমের মাস চলছে।" 


আরও পড়ুন, খণ্ডঘোষে এক শিশুর শরীরে সংক্রমণ, আইসোলেশনে ঘাটালের করোনা আক্রান্ত যুবকের মা-স্ত্রী