নিজস্ব প্রতিবেদন: ২১ পড়ছে ২৫শে। এবারের শহিদ দিবসে তাই রেকর্ড ভিড়ের প্রত্যাশা তৃণমূলের। কিন্তু, সদ্য প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেভাবে শামিয়ানা ভেঙে গিয়ে বিপর্যয় ঘটেছে তাতে অতি সচেতন তৃণমূল কংগ্রেস। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সব দিক। কিন্তু, কতটা মজবুত হচ্ছে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ?  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মঞ্চের মাপজোক:


এবার ভিড় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে, তাই ৮ ফুট পিছোতে বলা হয়েছে মঞ্চ। সাধারণত, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় আলাদাভাবে পাঁচটি মঞ্চ হয়। প্রথম মঞ্চ অর্থাত্ মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বক্তব্য রাখেন, সেটির উচ্চতা ১২ ফুট ও ৮ ফুট লম্বা-৮ ফুট চওড়া হয়। 
দ্বিতীয় মঞ্চ অর্থাত্ মূল স্তরের উচ্চতা ১০ ফুট,  ৫২ ফুট লম্বা ও ২৪ ফুট চওড়া হয়। 
তৃতীয় মঞ্চের উচ্চতা ১১ ফুট লম্বা,  ৪০ ফুট লম্বা ও ২৪ ফুট চওড়া।
চতুর্থ মঞ্চের উচ্চতা ১২ ফুট , লম্বা  ৪০ ফুট,  চওড়া ২০ ফুট ।
যে মঞ্চে কাউন্সিলররা বসেন অর্থাত পঞ্চম মঞ্চের উচ্চতা ৫ ফুট, লম্বা ও চওড়া যথাক্রমে ৪০ ফুট ও ২৪ ফুট। 


আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সভায় প্যান্ডেল ভাঙার তদন্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক


মঞ্চের বিশেষত্ব:


সমস্ত মঞ্চই তৈরি হচ্ছে 'আয়রন সেকশন' দিয়ে। ব্যবহার করা হচ্ছে ৪০০ আয়রন সেকশন। 
অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ। 
মঞ্চে ৪ ফুট বাই ৪ ফুট এলাকায় দু'টি করে চেয়ার বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৬০ কেজি ওজন নিতে পারবে। 
সামগ্রিকভাবে মঞ্চ ৪ হাজার কেজি ওজন নিতে সক্ষম। 
জানা যাচ্ছে, মঞ্চে উঠতে পারবেন কমপক্ষে ১ হাজার জন। কিন্তু মঞ্চে ওঠেন ৫০০ জন মতো। 
মঞ্চ তৈরির কাজ খতিয়ে দেখতে প্রতিদিনই পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা আসছেন।



তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘২১শে জুলাই শহিদ স্মরণে ধর্মতলায় চলো’। ওই দিন বেলা ১২টা থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠান। 


প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে ধর্মতলার বুকে পুলিসের গুলিতে ১৩ জন যুব কংগ্রেসকর্মীর মৃত্যু হয়। সে সময় বাংলার যুব কংগ্রেসক নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের স্মরণেই প্রতি বছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল ও কংগ্রেস উভয় দলই। তবে, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরেই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস অধিক ক্ষমতাধর দল। তাই, তৃণমূলের শহিদ দিবসেই নজরকাড়া জন সমাগম হয়। প্রতিবারই এই সভা তার নিজের রেকর্ড ভাঙে। এবারও গতবারের সভার রেকর্ড ভাঙবে বলে তৃণমূলের নেতারা প্রত্যয়ী।