ওয়েব ডেস্ক: দাবিমত জিনিস মেলেনি। সঙ্গে কন্যাসন্তান হওয়ার জের। গৃহবধূকে জোর করে গলায় ঢেলে দেওয়া হল অ্যাসিড। এখানেই থেমে থাকল না অত্যাচার। আশঙ্কাজনক স্ত্রীকে হাসপাতালে ঢুকে খুনের হুমকি স্বামীর। আতঙ্কে অসহায় পরিবার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্টোডাঙার মুরারিপুকুরের তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় হরিণঘাটার যুবক বিপ্লবের। পাত্রপক্ষের দাবিদাওয়া নেই। যেন হাতে চাঁদ পেয়েছিল দরিদ্র এই পরিবারটির। বাবা নেই। মা সামান্য আয়ার কাজ করেন। জীবনের শেষ সম্বলটুকু নিঃশেষ করে মেয়ের বিয়ে দেন তিনি। 


কিন্তু কয়েকমাস পর থেকেই স্বমূর্তি ধারন করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাবি...আর না পেলেই অত্যাচার। সহ্য করতে না পেরে মাস পাচেক আগে মুরারিপুকুরের বাড়ি ফিরে আসে তরুণী। বিপ্লবের বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই কাকুতি মিনতি করে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় সে। 


অত্যাচার চরমে ওঠে গত সোমবার। অভিযোগ, ব্যাপক মারধর করে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। কোনওরকমে বেরিয়ে আসেন তিনি। এরপরের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর। স্বামী-দেওর-শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁকে বাথরুমে ঢুকিয়ে মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেও রেহাই নেই। অভিযোগ, হাসপাতালে ঢুকেও তাকে ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে বিপ্লব। থানায় অভিযোগ জানালে দশমাসের ছোট্ট সন্তানকেও মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সে। 


মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে জোর করে শম্পাকে ছাড়িয়ে নিতে যায় তাঁর স্বামী। তখনই তাকে ধরে ফেলে রোগীর আত্মীয় ও নার্সরা।  বিপ্লবকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় মুরারিপুরে। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যায় মানিকতলা থানার পুলিস। চব্বিশ ঘণ্টার উদ্যোগে হরিণঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তরুণীর পরিবার।