মাছ ধরার ছোট ট্রলার থেকে ২৫০ টন মুসুর ডাল আটক , পাচারকারিরা পলাতক
পুলিস ট্রলারগুলোকে আটক করলেও পাচারকারীদের ধরতে পারেনি। পুলিস আসার আগেই তাঁরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গেছে,মায়াচরের খেয়াঘাটের কাছে চারটি মাছ ধরার ট্রলার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওখানকার বাসিন্দারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাছ ধরার ৪টি ছোট ট্রলারে করে রাতের অন্ধকারে প্রায় ২৫০ টন মুসুর ডাল পাচার হওয়ার সময় শ্যামপুর পুলিসের হাতে ধরা পড়ে ট্রলারগুলো। পুলিস ট্রলারগুলোকে আটক করলেও পাচারকারীদের ধরতে পারেনি। পুলিস আসার আগেই তাঁরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গেছে,মায়াচরের খেয়াঘাটের কাছে চারটি মাছ ধরার ট্রলার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওখানকার বাসিন্দারা।
অপরিচিত ট্রলার দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে কৌতূহল জন্মায় ট্রলারের ভিতর কী আছে? তাদের সন্দেহ হয়,খবর দেওয়া হয় মায়াচর পুলিস ফাঁড়িতে। কিন্তু ফাঁড়ি থেকে পুলিস আসতে দেরি করায় মায়াচরের গ্রামবাসী খবর দেয় অপেক্ষাকৃত কম দুরত্বে থাকা হাওড়ার শ্যামপুর থানাকে। তাঁরা নিজেদের ট্রলার নিয়ে এসে ট্রলারগুলো সার্চ করে ২৫০টন মুসুর ডাল উদ্ধার করে। কিন্তু মায়াচর যেহেতু মহিষাদল থানার অধীনে। শ্যামপুর থানার আধিকারীকরা খবর দেওয়ার পর মহিষাদল থানার পুলিস গিয়ে মুসুর ডাল সহ ট্রলার গুলো বাজেয়াপ্ত করেছে। ট্রলার বাজেয়াপ্ত করা গেলে পাচারকারীদের পাওয়া যায়নি। পুলিসের অনুমান নদী পাড়ে অনেক মানুষ দেখে পাচারকারীরা আগাম বিপদের গন্ধ আঁচ করতে পেরে পালিয়ে যায়।
এদিকে মুসুর ডাল পাঁচারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির মহিষাদলের-১ মন্ডল সভাপতি সৌরভ বাগ অভিযোগ করেছেন, "এই ডাল কেন্দ্রীয় সরকারের আমফান ত্রানের। অসহায় মানুষগুলোকে বঞ্চিত করে হলদিয়া থেকে রূপনারায়ণ নদী পথে মুসুর ডাল মায়চার আনা হয়। এরপর হাওড়ার সড়ক পথ হয়ে কলকাতায় পাচার করার চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা । এটা কাজ পুরোটাই হচ্ছে শাসক দলের মদতে ।" বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দেন মহিষাদল ব্লক তৃণমূল সভাপতি তিলক চক্রবর্তী। তিনি জনান, " তদন্ত করলেই বোঝা যাবে এই ডাল কোথায় ছিল? আর বিজেপি এখন সব বিষয়ে তৃনমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।"
রজত দে খুনের মামলায় আজ সাজা ঘোষণা, এজলাসে কান্না, বাইরে স্লোগান স্ত্রী অনিন্দিতার ফাঁসি
রাজনৈতিক চাপানউতোর হলেও সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে , এত ডাল থাকা সত্ত্বেও কেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ডাল পাচ্ছেনা। তাহলে কি ডাল পাচার করা হবে বলেই সাধারণের মধ্যে ডাল ঠিকভাবে বন্টন হয় নি। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। পাশাপাশি পুলিসের চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে এলাকার মানুষ। নদীপথে পুলিসের ঠিকমত নজরদারি না থাকায় চোরাকারবারীদের স্বর্গ রাজ্য হয়ে উঠছে রূপনারায়ণ ও হুগলীর নদী পথ। একের পর এক চোরাচালানকারীরা কখনও কোস্ট গার্ড আবার কখনও সাধারণ মানুষের হাতে ধরা পড়ছে। তবুও পুলিস সবসময় দর্শকের ভূমিকায়।