নিজস্ব প্রতিবেদন : নরেন্দ্রপুরের 'ডন' বাবুসোনা ওরফে বিশ্বজিৎ সর্দারকে খুনের ঘটনায় এক শাগরেদ রাজা দাস সহ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। বাকি ২ জনের নাম ইসমাইল ও বিজয়। ধৃতদের জেরা জানা গিয়েছে, ৪ কাঠা খাসজমির দখল নিয়ে শেখ বিনোদ নামে স্থানীয় আরেক সমাজ বিরোধীর সঙ্গে গন্ডগোল ছিল বাবুসোনার। পাশাপাশি অনেক দিন ধরেই বাবু সোনাকে সরিয়ে এলাকার ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছিল রঞ্জিৎ দাস ওরফে রাজা। তাই শেখ বিনোদের সঙ্গে মিলে বাবুসোনাকে খুনের ছক কষে রাজা-ই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার দিন বাবুসোনার বাইকের পিছনেই বসেছিল রাজা। বৃষ্টির মধ্যে ফাঁকা রাস্তার সুযোগ নিয়ে বাইকের পিছন থেকেই বাবুসোনাকে গুলি করে করে রাজা। রাজা ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়লে আরও দু রাউন্ড গুলি চালায়। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে রাজাকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ইসমাইল ও বিজয়ের সন্ধান মেলে। শুক্রবার রাতে তাদেরকেও গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।


প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে নরেন্দ্রপুরে নিজের বাড়ির অদূরে প্রকাশ্যে নাটকীয়ভাবে খুন হয় বাবুসোনা। দুষ্কৃতীর ছোড়া গুলিতে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায় তার গলার নলি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তার। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর গৌর হরি দাসের অনুগামী ছিল বাবু সর্দার। এলাকায় ‘দাদা’ বলে পরিচিত ছিল বাবুসোনা। এলাকায় সবাই তাকে একডাকে সবাই চিনত। তোলাবাজি, সিন্ডিকেটরাজ, কাউকে হুমকি দেওয়া, এলাকা দখলে সিদ্ধহস্ত ছিল বাবুসোনা।


আরও পড়ুন, কেষ্টপুরে পুলিসকর্মীর বাড়িতে 'রহস্যজনক' বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ স্ত্রী! কারণ ঘিরে ধন্দে গোয়েন্দারা


বাঁশদ্রোণী ও সোনারপুর থানা-সহ আরও বেশ কয়েকটি থানায় অন্তত ২০টির বেশি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক খুনের মামলাও। বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছে সে। কিন্তু জেল থেকে বেরিয়েই আবার নিজের ফর্মে ফিরে আসত বাবুসোনা। এলাকায় অস্ত্র সরবরাহও করত সে। খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিস নিশ্চিত হয় যে, পুরনো শুত্রুতার জেরেই খুন হতে হয়েছে বাবুসোনাকে। এরপরই সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে বাবুসোনার সঙ্গী রাজার উপর। তাকে ধরতেই পর্দাফাঁস হয় খুনের ছকের।