জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মালগাড়ির ধাক্কায় ৩ হাতির মৃত্য়ু। ২ সন্তান সহ মায়ের মৃত্যু ট্রেনের ধাক্কায়! মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়ায়। শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ারে আসছিল মালগাড়িটি। সেইসময়ই মালগাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, মালগাড়িটি যখন শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ারের দিকে আসছিল, তখনই হাতির দলটি লাইন পারাপার করছিল। সেই লাইন পারাপারের সময়ই মালগাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দিনের আলোয় কীভাবে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটল? মনে করা হচ্ছে, মালগাড়িতে আচমকা ব্রেক কষলে উলটে যেতে পারে ট্রেন। তাই গতি কমিয়ে ব্রেক কষা হয়। কিন্তু গতি কমিয়ে ব্রেক কষলেও অনেকটা এগিয়ে যায় ট্রেন। যারফলেই হয়তো মালগাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এমনটা মনে করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে গোটা ঘটনাটি।


দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বন দফতরের আধিকারিকরা। তবে রেলের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, রেল ও বন দফতরের বৈঠকে বার বার ট্রেনের গতি কমানোর কথা বলা হয়েছে ওই এলাকায়। সেখানে দিনের আলোয় কীভাবে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল? একসঙ্গে ৩টি হাতি কী করে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়ল? তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠছেই। এই ঘটনায় বন্য়প্রাণ বিশেষজ্ঞ জয়দীপ কুণ্ডু তোপ দেগেছেন রেলের উদ্দেশেই। তিনি বলেন, "এটা রেলের চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও সহানুভূতির অভাব। মালগাড়িকে কেন তখনই নিয়ে যেতে হবে, কেন তার সময়কে পরিবর্তন করা হবে না? এটা লজ্জাজনক। আমাদের সমাজের মুখে চুনকালি এই ঘটনা।"


রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, ঘটনাটি ঘটেছে সকাল সাতটা কুড়ি নাগাদ। ওই এলাকাটি হাতির করিডর এলাকা-ই ছিল। কিন্তু রেল সূত্রে দাবি, ওই এলাকায় সকাল ৫টা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর নিয়ম আছে। তারপর আর কোনও গতির বাধা নেই। যে মালগাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি খালিও ছিল। কিন্তু তাহলে কেন ৩টে হাতি মারা গেল? উঠছে প্রশ্ন। রেল মনে করছে, হঠাৎ করেই হাতি লাইনে চলে আসে। ফলে ব্রেক কষলেও গাড়িটি ৪০০ থেকে ৫০০ মিটার এগিয়ে যায়। কারণ মালগাড়ি এমনিতেই ভারী হয়। যে ১৮ কিলোমিটার এলাকায় রেল হাতির উপস্থিতি বোঝার জন্য নির্দিষ্ট সিস্টেম ব্যবহার করে, রেলের সূত্রের দাবি এই এলাকাটা তার মধ্যে পড়ে না। গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে দাবি।


যদিও এর আগে বুধবার রাতে গুলমা ও সেবক স্টেশনের মাঝে মহানন্দা অভয়ারণ্যের বুক চিরে চলে যাওয়া রেললাইনের উপরে উঠে আসা একটি বুনো হাতির প্রাণ জরুরিকালীন ব্রেক কষে বাঁচান ২ ট্রেন চালক। শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ার জংশনগামী আপ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস আসছিল। দূর থেকে বিশাল এক হাতির গতিবিধি দেখে সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষেন লোকো পাইলট কে কে গুপ্তা ও অ্যাসিট্যান্ট লোকো পাইলট এস গরাই। তারপর মাকনা হাতিটি জঙ্গলে ঢুকে গিয়েছে এমনটা নিশ্চিত হওয়ার পরেই তাঁরা ফের নির্দিষ্ট গতিবেগে গন্তব্যের দিকে রওনা দেন। 


আরও পড়ুন, Migratory Birds: আপ্যায়নে ত্রুটি, বিরক্ত হয়ে মুখ ফেরাচ্ছে শীতের অতিথিরা!



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)