নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটা চাপা অশান্তি ছিল । কিন্তু তার পরিণাম যে এত ভয়াবহ হবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি দে পরিবার। মাঝরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যার গায়ে আগুন লাগিয়ে নিজে আত্মঘাতী হলেন রেল পুলিসে কর্মরত সুদেব চন্দ্র দে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কালনার মন্তেশ্বরের বাঘাসোনা গ্রামে স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রকে নিয়ে বাস করতেন সুদেব দে। মঙ্গলবার ভোররাতে একই ঘর থেকে সুদেব দে, তাঁর স্ত্রী এবং আট বছরের পুত্রের আগুনে পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আর বড় মেয়েকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান হাসপাতালে চিকিতসাধীন সে।


মৃত সুদেব দে-র দাদা জানান, “ভোর ৩.১৫ নাগাদ ভাইঝি আমাকে ফোন করে আগুন লাগার ঘটনায় জানায়। আমরা ছুটে এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখি আমার ভাই, তাঁর স্ত্রী এবং ভাইপো মারা গিয়েছে।  আর ভাইঝি অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ছাটফট করছে।“


পরিবাররে তরফে জানানো হয়েছে ছোটখাটো অশান্তি হত। কিন্তু এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটার মত কোনও ঘটনা তাদের চোখে পড়েনি। রাতে সবাই খাওয়াদাওয়া করে স্বাভাবিকভাবে শুতে চলে যায়। কারোও মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতাও চোখে পড়েনি।


পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পর ভোর রাতে সুদেব দে গোটা ঘরে কেরোসিন ছড়িয়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। সবার ঘুমের মধ্যেই পুড়ে মৃত্যু হয়। কিন্তু কোনও কারণে মেয়ের ঘুম ভেঙে যায়। প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে তদন্তে নেমেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিস।


আরও পড়ুন, 'কোভিড পজেটিভ', করোনায় আক্রান্ত খোদ কলকাতা মেডিকেলের অধ্যক্ষ