Uttarakhand Avalanche: উত্তরকাশীতে তুষারধস, ট্রেকিং করতে গিয়ে মৃত্যু বাঙালি অভিযাত্রীর
`দ্রৌপদী কা ডান্ডা ২’ শৃঙ্গে ট্রেকিং করার সময়ে তুষারধসের কবলে পড়ে ৪১ জনের একটি দল। ৯ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকিরা সকলেই মৃত।
মনোজ মণ্ডল: দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ট্রেকিং করছেন। উত্তরকাশিতে গিয়ে তুষারধসে প্রাণ হারালেন নিউ ব্যারাকপুরের সন্দীপ সরকার। আগামিকাল, মঙ্গলবার বাড়িতে তাঁর দেহ পৌঁছবে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, নিউ ব্যারাকপুরের কামারগাতি এলাকার বাসিন্দা সন্দীপ। ১১ সেপ্টেম্বর ৪১ জনের একটি দলের সঙ্গে উত্তরকাশীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। দুর্ঘটনা ঘটে ৪ অক্টোবর। কীভাবে? সেদিন উত্তরকাশীর 'দ্রৌপদী কা ডান্ডা ২’ শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে ট্রেকিং করছিলেন ওই দলের সদস্যরা। শৃঙ্গের কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিলেন তাঁরা। আচমকাই তুষারধসে কবলে পড়েন অভিযাত্রী দলের সদস্যরা। অধিকাংশ সদস্যই হারিয়ে যান। শেষপর্যন্ত ৯ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বাকিরা সকলেই মৃত। তাঁদের মধ্যে সন্দীপ সরকার-সহ ৩ জন এ রাজ্যের বাসিন্দা। যেদিন দুর্ঘটনা ঘটে, তার পরের দিন খবর পান পরিবারের লোকেরা। কেমন আছেন সন্দীপ? খোঁজখবর করতে শুরু করেন তাঁরা। এদিন সকালে মৃত্যুসংবাদ আসে। সন্দীপের সঙ্গেই ট্রেকিং করছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার বাসিন্দা অমিত সাউ। তুষারধসে মারা গিয়েছেন তিনিও। এদিন তাঁর মৃতদেহ আনা হয় বাড়িতে।
আরও পড়ুন: Pingla: অপহরণ নয় স্বেচ্ছায় প্রেমিকের গাড়িতে কলেজছাত্রী! পিংলার ঘটনায় নাটকীয় মোড়
এর আগে, চলতি বছরের মে মাসে উত্তরকাশীতে ট্রেকিং করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৫ বাঙালি অভিযাত্রী। নিহতদের মধ্যে ৩ জন আবার ছিলেন একই পরিবারের সদস্য। উত্তরকাশী থেকে গাড়িতে করে কেদারতালের দিকে যাচ্ছিলেন ওই ৫ বাঙালি অভিযাত্রী। আচমকাই গাড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে! প্রায় সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর জ্বলন্ত অবস্থা গাড়িটি পড়ে যায় খাদে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ৫ জনই। বস্তুত, গত বছরের শেষের দিকে প্রবল বৃষ্টি নেমেছিল উত্তরাখণ্ডে। সঙ্গে তুষারপাত ও ধস। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রাণহানি ঘটেছিল বাংলার কমপক্ষে আট অভিযাত্রীর। ট্রেকিং করতে উত্তরাখণ্ডে গিয়েছিলেন তাঁরা।