নিজস্ব প্রতিবেদন : অনিশ্চয়তায় অবশেষে ইতি। প্রতিবছরের মতো এবারও শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে মেলা হবে চারদিনের। আর সেই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ রোধে থাকছে একগুচ্ছ নতুন নিয়ম। এবার মেলায় স্টল দেওয়ার ক্ষেত্রে বুকিং করতে হবে অনলাইনে। মেলা নিয়ে জটিলতা ঘিরে দফায় দফায় আলোচনায় বসে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। কয়েক দফা আলোচনার পর শেষমেশ মেলা আয়োজনের পক্ষেই সায় দিয়েছে দুপক্ষ-ই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাসখানেক আগেই পৌষমেলা পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বিশ্বভারতী। এরফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে মেলার ভবিষ্যত্! তারপর বেশ কয়েকদফা বৈঠক, আলোচনার পর অবশ্য ঐতিহাসিক মেলার দায়িত্ব যৌথ ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। শতাব্দীপ্রাচীন রীতি মেনে এবছরও শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার আয়োজন হচ্ছে। তবে পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে এবছরের মেলায় একগুচ্ছ নতুন বিধিনিষেধ থাকছে।



১৮৯৪ সালের ৭ পৌষ শান্তিনিকেতনে প্রথম পৌষমেলা বসে। প্রথম দিকে মেলা পরিচালনা করত শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। পরে পৌষমেলার দায়িত্ব নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই মেলা আকারে-আয়তনে বাড়তে থাকে। প্রবল জনপ্রিয় মেলায় ভিড় জমান দেশ-বিদেশের মানুষ। কিন্তু সমস্যার শুরু ২০১৫ সালে। ২০১৫ সালে মেলা পরবর্তী দূষণের অভিযোগে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বভারতীর চেষ্টা সত্ত্বেও ২০১৯ সালে ফের পরিবেশ আদালতে এই নিয়ে আরও একটি মামলা হয়। তারপরেই মেলা পরিচালনা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী।


আরও পড়ুন, ভিড়ে লুকিয়ে থাকা পকেটমারকে এবার সহজেই চিনে ফেলবে ফেস রেকগনিশন সফটওয়্যার, অভিনব উদ্যোগ লালবাজারের


তৈরি হয় জটিলতা। প্রতিবছরই মেলা শেষে প্রাঙ্গনে অবর্জনার স্তূপ জমতে থাকে। সেই নিয়েই মামলা হয় পরিবেশ আদালতে। প্রশ্ন ওঠে, এমন ঐতিহ্যশালী মেলা সত্যিই কি বন্ধ হয়ে যাবে? অবশেষে স্থির হয়েছে, মেলা হবে ৪ দিনের। কোনও ভাঙা মেলা তারপর রাখা হবে না। মেলায় এবার অনলাইনে স্টল বুকিং করতে হবে। বিগত ৫ বছর ধরে এই চেষ্টা করে আসছে বিশ্বভারতী। তবে সেভাবে সফল হতে পারেনি। এবার একেবারে নিয়ম করে অনলাইনে স্টল বুকিং নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল।