নিজস্ব প্রতিনিধি: চৈতন্য পরিকর পরম বৈষ্ণব নরহরি সরকার ঠাকুরের ভজনস্থলে  সাড়ে ৪০০ বছরের প্রাচীন অন্যতম বৈষ্ণব মেলা শুরু হল।  প্রথা অনুযায়ী নরহরি সরকারের প্রতিষ্ঠিত গৌরাঙ্গদেবের দারুমূর্তিকে ‘দোলায়’ বসিয়ে  শ্রীখণ্ডের সাবেক মন্দির থেকে ৪ দিনের জন্য বড়ডাঙ্গার নরহরি সরকার ঠাকুরের ভজনকুটিরে নিয়ে যাওয়া হয়। দোলা নিয়ে পথ পরিক্রমার  সময় পরম্পরা মেনে  নরহরি সরকার ঠাকুরের অন্যতম সৃষ্টি মনোহরশাহি কীর্তন গাইতে গাইতে  ভক্তরা  ভজন কুটিরে যান। মনোহরশাহি কীর্তনের শুরু এখানেই হয়েছিল বলে জানা যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গ বিনিয়োগের সেরা গন্তব্য, লন্ডনে শিল্পপতিদের বার্তা মমতার                  


চৈতন্যদেবের মৃত্যুর  এক বছর পর ১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দে নরহরি সরকার  শ্রীখণ্ডে প্রথম গৌরাঙ্গ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করেন। যদিও বৈষ্ণব ইতিহাস থেকে জানা যায়  চৈতন্যদেবের জীবদ্দশাতেই শ্রীখণ্ডে পরম বৈষ্ণব  নরহরি  গৌরনাগরি ভাবের প্রচলন করেছিলেন।  সেই সময় কাল থেকেই শ্রীখণ্ডের বড়ডাঙ্গায় নরহরি সরকারের ভজন কুটিরে বছরে একবার করে গৌরাঙ্গ উৎসব  পালন করা হত।



আরও পড়ুন- কর্নাটকে উদ্ধার শিলিগুড়ির নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ


আনুমানিক  ১৫৮৩ খ্রিস্টাব্দে নরহরি সরকার ঠাকুরের অপ্রকট সময়কাল কার্তিকের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে নরহরি তিরোভাব দিবস উপলক্ষে তৎকালীন বৈষ্ণব সমাজ কাটোয়ার শ্রীখণ্ডের বড়ডাঙ্গায় ভজন কুটিরে নরহরি সরকার ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত গৌরাঙ্গ দারুমূর্তি সামনে রেখে পুজোর সঙ্গে  বড়  মেলার প্রচলন করেন। যা আজও নিরবচ্ছিন্ন হয়ে আসছে। এই মেলার  প্রধান  বৈশিষ্ট্য দেশের প্রতিষ্ঠিত কীর্তনীয়ারা এখানে এসে তাদের গরানহাটি, রেনেটি, মনোহরশাহি ঘরানার  কীর্তন  গান পরিবেশন করেন। এই শ্রীখণ্ডের মাটিতেই  নরহরি সরকার ঠাকুরের হাতেই সৃষ্টি হয়েছিল মনোহরশাহি কীর্তন। সেই জন্যই মনোহরশাহি কীর্তনের আঙ্গিকে পালাকীর্তন, লীলা কীর্তন এখানে পরিবেশিত করা হয়।   এই মেলায় বৈষ্ণব ভক্তদের ভিড় চোখে পড়ার মত । রাজ্য ছাড়াও রাজ্যের বাইরে থেকেও বহু ভক্তের সমাগম হয় এই মেলায়। মেলা চারদিন ধরে চলে।