নিজস্ব প্রতিবেদন:  ঘোলার বোর্ডঘর এলাকার চেয়ার কারখানায় আগুন লাগার ৪ দিন পর অবশেষে পাঁচ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হল। ঘটনাস্থল থেকে দেহাবশেষও  উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দেহ ও দেহাবশেষগুলি নিউ বারাকপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবারই সেগুলির ময়নাতদন্ত হবে। পুলিস সুত্রে খবর, প্রথমে দগ্ধ অবস্থায় একজনকে বসে থাকতে দেখে উদ্ধারকারী দল। এরপর বাকি শ্রমিকদের দেহাবশেষের হদিশ মেলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক


অধীর প্রতীক্ষার কারখানার বাইরে হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন আত্মীয়-পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তিন দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও যখনও কিছুরই সন্ধান মিলছিল না, নিষ্ঠুর সত্যটা মেনে নিয়েছিলেন তাঁরা। জতুগৃহ প্লাস্টিক কারখানার মধ্যে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ৫ শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা ধরেই নিয়েছিলেন, হয়তো  আর কোনওদিনই জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফিরবেন না তাঁরা। তবুও অপেক্ষায় ছিলেন। কাছের মানুষের কী পরিণতি হয়েছে, তা চোখে দেখার জন্য। অবশেষে চার দিন পর মিলল ভস্মীভূত প্লাস্টিক কারখানার নিখোঁজ ৫ শ্রমিকের।


আরও পড়ুন: বেআইনি সম্পত্তি রয়েছে তৃণমূলের ২৫ মন্ত্রী-বিধায়কের, আয়কর দফতরে অভিযোগ সুজনের


 কারোর দগ্ধ দেহ, কারোওবা দেহাবশেষ- বৃহস্পতিবার রাতে কারখানার ভিতর তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। কারখানার একেবারে ভিতরের ঘরে একজনের দগ্ধ দেহ দেওয়াল ঠেস দিয়ে বসা অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। এরপর সেই ঘরের আশপাশ থেকেই উদ্ধার হয় বাকিদের দেহাবশেষ।  এর আগেও প্লাস্টিক কারখানার ভিতর তল্লাশি চালায় ফরেনসিক টিম। কিন্তু তাঁরাও ওই পাঁচ জনের খোঁজ পাননি।


প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আবার আগুন লাগে ঘোলার ওই কারখানায়। দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কীভাবে বারবার আগুন লাগছে, তা খতিয়ে দেখছে দমকল বাহিনী। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে শ্রমিকদের পরিবার।