জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) খাসতালুক নন্দীগ্রামে বিজেপিতে ভাঙন। জেলা বিজেপি সদস্য-সহ ৫০ জনের দলত্যাগ। তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপি (BJP) সদস্যর দলত্যাগ। জেলা বিজেপি সদস্য অশোক করণের দলত্যাগ। এবং দেবাশিস দাস  নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষেরও দলত্যাগ। দলত্যাগ করা সদস্যদের মতে, দলের ব্যবহার বেদনাদায়ক, 'দুর্নীতির আখড়া' এবং বর্তমানে নন্দীগ্রামে বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটি তারা চাইছেন না। তাই সেই কারণেই জেলা বিজেপির সদস্যরা দলত্যাগ করলেন। আসন্ন বিধানসভা ভোটের কথা মাথা রেখে এবার এই সদস্যরা কোনদলে যোগ দেবেন সেটাই দেখার বিষয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: কর্তব্যের গাফিলতি! ডাক্তারের অবহেলায় প্রাণ গেল রোগীর, ধুন্ধুমার...


যদিও অন্যদিকে সমস্ত রাজ্যজুড়ে যখন সদস্য সংগ্রহের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে সম্পূর্ণভাবে বঙ্গ বিজেপি সেই টার্গেট পূরণ করতে পারছে না। সেই মত পরিস্থিতিতে দলত্যাগ তাও আবার শুভেন্দু গড়ে সেটি একপ্রকার বড়সড় ধাক্কা বলে জানাচ্ছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, আরও দুই শুভেন্দু গড়ে বারবার বিজেপিকে চোট পেতে হয়েছে। 


শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়ে বলেন, 'কে থাকবেন কে ছাড়বেন এটা তাঁর ব্যপার। আমার বা বিজেপির কোন ক্ষতি হবে না। এখানকার হিন্দুরা জানেন। সুরক্ষিত থাকতে হলে, বাংলাদেশ যাতে না হয়, তার জন্য কোন দলে থাকতে হবে এবং কোন নেতাকে মানতে হবে।'  


সম্প্রতি  কাঁথি সমবায় এবং এগরায় সমবায়ে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। তার জায়গায় ফোটে ঘাসফুল। এগরায়  শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) 'গড়ে' কার্যত খাতাই খুলতে পারল না গেরুয়াশিবির! কাঁথি সমবায় সমিতিতেও ভোট হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ রাজ্যে যা নজিরবিহীন। এরপর যখন ফল বেরোয়, তখন দেখা যায়, ১০৮ আসনের মধ্যে  ১০১ আসনে জিতেছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরাই। বস্তুত, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা বুথের বেশির আসনে ধরাশায়ী হলেও, ৭ আসনে কিন্তু ছিল বিজেপি দখলে। এবার তাও হল না।


কাঁথি থেকে এগরা খুব বেশি দূরে নেই। মেরেকেটে কয়েক কিলোমিটার। সেখানে বিজেপির দখলে থাকা জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের জুমকি, মাণিকাদিঘী, বিশ্বনাথপুর, সিমুলিয়া গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে জুমকি সমবায় সমিতি। আজ, শুক্রবার ভোট হল ১‍২ আসনের সেই জুমকি সমবায় সমিতিতে। সবকটি আসনেই জিতেছেন তৃণমূল। ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৫৮০ । ভোট পড়েছে ৫২৬।


আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: জাঁকিয়ে ঠান্ডা এ বছর আর নয়, এখন শুধুই কুয়াশার পরত! এবার নতুন বছরে নতুন শীত!


স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কটাক্ষ, 'বিজেপির সঙ্গে যে সাধারণ মানুষের কোনও যোগাযোগ নেই, তা আজকের ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল'। তাঁদের দাবি, 'এর থেকে পরিষ্কার, বিজেপি কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসাতেই টিকে আছে। ভোটে লড়াই করার ক্ষমতা ওদের নেই'। পদ্মশিবিরের দাবি আবার ভিন্ন।  স্থানীয় স্তরে কোনও গন্ডগোলের আঁচ পাচ্ছে তারা। বিজেপির এগরা ১ ব্লকের বিরোধী দলনেত তাপস দে বলেন, 'সমবায় নির্বাচনের সঙ্গে দলের সরাসরি যোগ না খোঁজাই ভালো'।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)