নারায়ণ সিংহ রায়: প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানে বিপর্যয়। মৃত্যু হয়েছে ১ শিশু সহ ৮ জনের। দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখতে আজ মালবাজারে বিজেপি প্রতিনিধি দল। ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ৭ বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ ও জেলা সভাপতি। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন মনোজ টিগ্গা, শংকর ঘোষ ও মনোজ বর্মণরা। রয়েছেন মালবাজারের বিজেপি সভাপতিও  আহতদের দেখতে হাসপাতালেও যাবেন তাঁরা। কথা বলেন মৃতদের পরিবারের সঙ্গেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ভয়ংকর হড়পা বান। মাল নদীতে হড়পা বানে প্রাণ হারিয়েছে ১ শিশু সহ মোট ৮ জন। মর্মান্তিক সেই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে দেওয়া হবে এই আর্থিক সাহায্য়। এর পাশাপাশি আহতদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ। একই অঙ্কের আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকারও। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দেওয়া হবে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ। আর আহতদেরকে ৫০ হাজার টাকা।


এই ঘটনায় মালবাজার সিভিল ডিফেন্সের আধিকারিক পল্লব বিকাশ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, মাত্র ৮ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ছিল এই মাল নিরঞ্জন ঘাটে। পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিও ছিল না। বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজ ব্যহত রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ জেসিপি দিয়ে মাটি খুঁড়ে মাল নদীতে একটি চর তৈরি করা হয়েছিল যাতে সেই চরে বাধা পেয়ে একদিকে অন্তত বেশি জল বইতে পারে এবং তাতে সহজেই বিসর্জন দেওয়া যায়। তাতেই জলের গতি বেড়ে যায়। প্রশাসনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে বিসর্জন দেখার কথা। কিন্তু নদীর চরে কেন বাঁশের কাঠামো তৈরি করে লাইট লাগানো হয়েছিল? ওইসব লাইট লাগানোর ফলেই মানুষজন নদীগর্ভে নেমে যায়। অন্যদিকে মালবাজার প্রশাসনের দাবি, নিষেধ করা সত্বেও মানুষজন নদীতে নেমে যায়।