নিজস্ব প্রতিবেদন:  সারাদিন রাত মোবাইলেই নজর থাকত ছেলের। কখনও গেম খেলত, কখনও আবার ফেসবুক, মেসেঞ্জারে ব্যস্ত থাকত চ্যাটে। রাতে খাবার পরও ঘুমানোর আগে পর্যন্ত মোবাইল ঘাটাঘাটি করত। বাবা-মা অনেক বুঝিয়েছিলেন, কিন্তু কথা কানে যায়নি ছেলের। সোমবার রাতও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সারা রাত মোবাইলে গেম খেলে ১৭ বছরের শুভ্র ভদ্র। সকালে ঘুম থেকে ডাকতে গিয়ে মা দেখলেন, ছেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। হুগলির চন্দননগরের এই ঘটনায় ফের জোরাল হয়ে উঠল ‘মোমো’ চ্যালেঞ্জ গেম তত্ত্ব। তবে কি মোমো গেম খেলেই আত্মহত্যা করেছে শুভ্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চন্দননগরের দিনেমার ডাঙার তালপুকুর এলাকার ১৭ বছরের শুভ্র ভদ্রে মোবাইলের প্রতি ভীষণ আসক্তি ছিল। স্কুল, টিউশন বাদ দিয়ে যতক্ষণ বাড়িতে থাকত তার বেশিরভাগ সময়ই হাতে ফোন থাকত তার। বাবা-মা, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে একাধিকবার বুঝিয়েছে। কিন্তু কোনও কথাই কানে নেয়নি সে। এই নিয়ে বাবা-মায়ের বকুনিও খেতে হয়েছে তাকে।


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেও খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ঘাটাঘাটি করছিল শুভ্র। এটা রোজকার ঘটনা ভেবেই আর বিশেষ আমল দেয়নি পরিবার। ছেলে শোওয়ার পর রাতে তার ঘরের আলোও নিভিয়ে দিয়ে আসেন মা। তখনও ছেলেকে মোবাইল হাতেই দেখেছিলেন। মঙ্গলবার সকালে যখন তাকে ডাকতে গেলেন, দেখলেন সিলিং ফ্যানে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে শুভ্র।


পরিবারের তরফে দাবি করা হচ্ছে, মোমো মারণ গেমের শিকার হয়েছে শুভ্র। পুলিস দেহ উদ্ধার করেছে। শুভ্রর মোবাইল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।



এদিকে, মোমো আতঙ্কে ভুগছে কলকাতার এক তরুণ-তরুণীও।  পার্কস্ট্রিটে কর্মরত এক যুবক ও তাঁর বান্ধবীকে হিন্দি ও ইংরাজিতে মেসেজ করে মোমো। শুধু মেসেজই নয়, ভিডিও কলও করা হয়।



আতঙ্কে তারা ওই নম্বর ব্লক করে দেন। তবুও অন্য নম্বর থেকে ফের ফোন আসে তাঁদের কাছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন তরুণ-তরুণী।