নিজস্ব প্রতিবেদন:  তিন বছর পর বিমল গুরুং প্রকাশ্যে আসতেই পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া জটিলতা। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যখন গুরুং বিরোধী মিটিং-মিছিলে জোর দিচ্ছেন বিনয় তামাঙ, অনিত থাপারা, তখন বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সমর্থন আদায়ের পথ আরও মসৃণ করে ফেলল তৃণমূল। শিলিগুড়িতে রাজ্যের চার মন্ত্রী  অরূপ বিশ্বাস , রবীন্দ্রনাথ ঘোষ , গৌতম দেব ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের উপস্থিতিতে দলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন রাজ্যের বৌদ্ধ সেলের কো-অর্ডিনেটর নিমা ওয়াংদি। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সমর্থন করছেন প্রায় চার হাজার মানুষ। তবে উত্তরবঙ্গের মনেস্ট্রিগুলি মেরামতি ও বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মাসিক ভাতা-সহ বেশ কয়েকটি দাবির কথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে জানানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: স্তাবকতায় বিশ্বাসী নই, ন্যাচরালি নম্বর কম, দুর্নীতিগ্রস্তরা সামনের সারিতে: রাজীব


উল্লেখ্য,  পাহাড়ে অশান্তির পর টানা তিন বছর আত্মগোপন করেছিলেন তিনি। প্রকাশ্যে এসেই ভোল পাল্টে ফেললেন বিমল গুরুং। কলকাতার বুকে সাংবাদিক সম্মেলন করে আগামী বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন গুরুং। এরপর গত মাসের গোড়ার দিকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে শহরে আসেন বিনয় তামাঙ ও অনিত থাপা। তিনি বলেন, 'বিমল গুরুংয়ের সাথে আমরা একসাথে কাজ করতে পারব না। তিন বছর গুরুং পাহাড়ে ছিল না। তাঁরা ছিলেন। পাহাড়ের কেউ বিমল গুরুংকে সমর্থন করেন না।' তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, 'বিমল গুরুং আইনের ঊর্ধ্বে না।' গুরুং-বিনয় দ্বন্দ্বে পাহাড়ে তৃণমূলের রাশ আলগা হয়ে যাবে না তো? হাল ছাড়তে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন: রাজীব একা নন, আরও অনেকে আছেন, সবাইকে স্বাগত : মুকুল


শনিবার শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে জনসভা করল তৃণমূল। সেই জনসভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের চার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। ছিলেন তৃণমূলের দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি-প্রথমসারির নেতারা। সকলের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন রাজ্যের বৌদ্ধ সেলের কো-অর্ডিনেটর নিমা ওয়াংদি। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, 'প্রায় সাত হাজার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগ দিলেন। প্রত্যেকটি বিধানসভা এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে। ক্য়ামেরা নিয়ে বেরোলেই চোখে পড়বে।'