নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের পূর্ব বর্ধমানে করোনা আক্রান্তের হদিস মিলল। দিন পাঁচেক আগে জেলার খণ্ডঘোষ এলাকায় করোনা পজেটিভ এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। ওই ব্যক্তি কলকাতার মেটিয়াবুরুজ এলাকায় একটি বেসরকারি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে দুর্গাপুরের একটি কোভিড হাসপাতালে। এবার ওই ব্যক্তির পরিবারের এক শিশুর শরীরে করোনা সংক্রমণের হদিশ মিলল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওই ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণের রিপোর্ট পজেটিভ মেলার পরই তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। ইতিমধ্যেই পরিবারের ৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু এদিন পরিবারের এক শিশুর শরীরে করোনা সংক্রমণের হদিশ মেলায় নতুন করে উদ্বেগে প্রশাসন। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাতেও। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, "আমার আরেকটা করোনা পজেটিভ পেয়েছি। যে ব্যক্তি আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরই পরিবারের ওই শিশু। যা যা করণীয়, ইতিমধ্যেই তা আগে থেকে করা হয়েছে। যাতে বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে না পারে, তাই গ্রাম ঘিরে রাখা হয়েছে।"


অন্যদিকে দাসপুরের পর এবার করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। করোনা আক্রান্ত পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক ওই যুবক ঘাটালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই জ্বর কাশির মতো উপসর্গ নিয়ে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে মেল ওয়ার্ডে ভর্তি হন ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক। এরপর করোনা সংক্রমিত সন্দেহে তাঁকে রেফার করা হয় মেদিনীপুরের করোনা লেভেল ১ হাসপাতালে। তাঁর লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে।  বৃহস্পতিবার বিকেলেই ওই যুবকের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। তারপরই তড়িঘড়ি ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালককে স্থানান্তরিত করা হয় মেচোগ্রামের করোনা লেভেল ৩ বড়মা হাসপাতালে। 


এরপর সোমবার সকাল থেকেই পুলিসি তৎপরতা চোখে পড়ে ঘাটাল পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহাপাত্র পাড়ায়। ইতিমধ্যেই পুলিসের তরফে পাড়াটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। ব্যারিকেড করে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিসের তরফে মাইকিং করে সকলকে গৃহবন্দি থাকার আবেদন জানানো হয়েছে। খাবার সহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পুলিসের তরফে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে মাইকিং করে এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে। পুরসভার কর্মীরা এলাকা জোরকদমে এলাকা স্যানিটাইজেশানের কাজ চালাচ্ছে। ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলেন, "আমরা সতর্ক আছি। পুরসভার পক্ষ থেকে পুরো এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়েছে।"


অ্যাম্বুল্যান্স চালকের সংস্পর্শে  কাঁরা কাঁরা এসেছিলেন, ইতিমধ্যেই তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসায় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের নার্স সহ বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে ইতিমধ্যেই হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। করোনা আক্রান্ত যুবকের মা ও স্ত্রীকেও মেদিনীপুর করোনা লেভেল ১ হাসপাতালে আইসোলেট করে রাখা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত যুবক যে বাড়িতে ভাড়া থাকতন, সেই বাড়ির ২৬ জনকে পাঠানো হয়েছে স্থানীয় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। 
সব মিলিয়ে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের কপালে।


আরও পড়ুন, 'করোনা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার', মুখ্যমন্ত্রীকে এবার ১৪ পাতার পত্রবোমা রাজ্যপালের