শিক্ষক স্বামী, সন্তানে টান ছিল না, ‘ভাই’এর প্রতিই মজেছিল গৃহবধূর মন! পরিণতি ভয়ঙ্কর
যুগলের সঙ্গে স্ত্রীয়ের সম্পর্ক জানাজানি হতেই শুরু হয় তাঁদের দাম্পত্য কলহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘরে স্বামী রয়েছেন, তিনি স্কুলশিক্ষক। রয়েছে পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানও। তবুও সংসারে মন ছিল না তাঁর। পাড়ারই বয়সে ছোটো এক ছেলের প্রতি মন মজেছিল হুগলির মগড়ার সুকান্তপল্লির এক গৃহবধূ। কিন্তু এই সম্পর্ক কোনও পরিবারই মেনে নেয়নি। ভালোবাসার পরিণতি দিতে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়েই রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন গৃহবধূ। বুধবার সকালে মগড়া-তালাণ্ডু স্টেশনের মাঝে রীতিকা রায় ও যুগল দাস নামে ওই যুগলের দেহ উদ্ধার।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে সকলের নাকের ডগাতেই বারাসতের জয়া সিটি মলে চলত এই কাজ!
মগড়ার সুকান্ত পল্লির বছর বাইশের যুবক যুগল দাসের সঙ্গে ২ বছর ধরে প্রেম ছিল পাড়ারই গৃহবধূ রীতিকা রায়ের। রীতিকার স্বামী নিখিল রায় স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। যুগলের সঙ্গে স্ত্রীয়ের সম্পর্ক জানাজানি হতেই শুরু হয় তাঁদের দাম্পত্য কলহ। দুই পরিবারে অশান্তি চরমে ওঠে। কিছুদিন মেলামেশা বন্ধ করে যুগল-রীতিকা। তবে গোপনে, আড়ালে ফোনে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক জিইয়ে থাকে। তবে ইদানীং যুগল ও রীতিকা স্কুটারে এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে বলেও স্থানীয়দের দাবি।
আরও পড়ুন: দিঘাতে আজ সকালে যে ভয়ানক ঘটনা ঘটল তা আগে কখনও ঘটেনি, হতবাক প্রশাসনও
যুগল বাগাটি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি সিঙ্গুর আইটিআই-তেও পড়ছিলেন। বয়সে বড় বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক কোনওভাবেই মেনে নেয় নি যুগলের পরিবার। স্কুটার নিয়ে মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে পরতেন দুজনে। মঙ্গলবার সন্ধায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে ফোন করেন নিখিলবাবু। রাতে আর বাড়ি ফেরেনি রীতিকা। নিখোঁজ ছিল যুগলও। বুধবার ভোরে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় রেললাইনের ধার থেকে। ব্যান্ডেল জিআরপি দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।