বন্যার জল ঢুকে বালি জমিতে, ব্যপক ফলন সূর্যমুখীর
মেদিনীপুর শহর ছাড়াও ৪০ কিলোমিটার দূরে থাকা ঝাড়গ্রাম জেলার লোকজনও এই সূর্যমুখীর মাঠে এসে ভিড় করছেন বলে জানা গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্যার জল ঢুকে বালি পড়ে যাওয়ায় জমিতে কোনও চাষ করা সম্ভব হচ্ছিলনা। সেই পাঁচ বিঘা জমিতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সূর্যমুখীর বীজ। চমকে দিয়ে সেই পাঁচ বিঘা জমিতে ব্যাপক ফলেছে সূর্যমুখী।
মেদিনীপুর শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে থাকা নেপুরা গ্রামের পাশের মাঠে সেই সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন বহু মানুষ। বিকেল হলেই সেলফি প্রেমীদের ভিড় সূর্যমুখীর জমিতে।
মেদিনীপুর শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে এই নেপুরা গ্রাম। এলাকার কৃষক মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ গ্রামের পাশে থাকা মাঠে এই সূর্যমুখী চাষ করেছেন। এক সময় জলে ডুবে থাকা এই জমিতে এবার ব্যাপক ফলন হয়েছে সূর্যমুখীর।
মেদিনীপুর শহর ছাড়াও ৪০ কিলোমিটার দূরে থাকা ঝাড়গ্রাম জেলার লোকজনও এই সূর্যমুখীর মাঠে এসে ভিড় করছেন বলে জানা গেছে।
মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন সাজানো পার্ক ছেড়ে শহরের বাসিন্দারা সাত কিলোমিটার দূরে থাকা মাঠে থাকা সূর্যমুখীর মাঠকেই বিনোদনের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন। দর্শনার্থীদের চাপে নষ্ট হচ্ছে সূর্যমুখীর পাশে থাকা অন্যান্য সব্জির জমি।
আরও পড়ুন: Murshidabad: পারিবারিক বিবাদ থেকে সংঘর্ষ, অস্ত্রের কোপ-বাড়িতে আগুন, কান্দিতে নিহত ১
কৃষক মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ বলেন, বারবার ফসল নষ্ট হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে আলু বা অন্যান্য সব্জি না চাষ করে এই সূর্যমুখী লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অবাক করে এবার ফলন ভাল হয়েছে। তিনি আরও বলেন তার অন্যান্য সব্জি এবং সূর্যমুখীর কিছুটা ক্ষতি হলেও মানুষের এই ভিড়টাতে তিনি আনন্দ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
মেদিনীপুর শহর থেকে ফুল দেখতে যাওয়া এক বাসিন্দা রাকেশ দাস বলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্প্রতি এই সূর্যমুখীর মাঠ মারাত্মকভাবে ভাইরাল হয়েছে। বহু মানুষ এখানে এসে ছবি তুলে তা সোশাল মিডীয়ায় পোস্ট করেছেন।