নিজস্ব প্রতিবেদন: অনেক চেষ্টা করে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁর। বিশেষ ট্রেনেই মৃত্যু হল কালিম্পঙের এক মহিলা পরিযায়ী শ্রমিকের। তাঁর নাম কৃতি শেরপা। তিনি কালিম্পঙের আলগারার বাসিন্দা। তিনি উত্তরপ্রদেশে কাজ করতেন। অ্যাম্বুলেন্সে কালিম্পঙের বাড়িতে তাঁর দেহ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
তবে এই ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন কার্শিয়াঙ জেলা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিন্নি শর্মা। তিনি বলেন, "এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ওই মহিলা শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই রেল আধিকারিক থেকে শুরু করে টিটি ও জিআরপিকে অনুরোধ করেছিলেন সাহায্যের জন্য। কিন্তু কোনও উপকার হয়নি। রেলের গাফিলতিতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।"


জামাইষষ্ঠীর ভোজ খেতে গিয়ে বাড়ি থেকে চুরি গেল চাল, ডাল, আলু-পেঁয়াজ, রান্নার মশলা!
অন্যদিকে, জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা বলেছেন, "মহিলা করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। পাহাড়ের বহু শ্রমিক বাইরে রয়েছেন, তাঁদের যথাযথভাবে ফিরিয়ে আনতে হবে।"
শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের দুরবস্থা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠছে। নেই জল, নেই খাবার-প্রচণ্ড গরমে, তৃষ্ণায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সম্প্রতি বিহারের এক মহিলা শ্রমিকের মৃত্যু হয় বিশেষ ট্রেনে। প্ল্যাটফর্মের ওপর চাদর মুড়িয়ে ফেলে রাখা হয় তাঁর দেহ। সেই চাদর নিয়েই খেলতে দেখা যায় তাঁর তিন বছরের শিশুকে। মোবাইলে তোলা সেই ভিডিও নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা সমাজকে। তবে এইভাবে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের দুরবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার।