নিজস্ব প্রতিবেদন:  বাড়ির বাথরুম থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হল তেরো বছরের এক কিশোরীকে।  ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচলের ভবানীপুর গ্রামে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পূজা সাহা নামে ওই কিশোরীর মা বুধবার বিকালে চাঁচলে হাটে যান। ঘটনার সময়ে বাড়িতে বাবার সঙ্গে ছিল কিশোরী। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর বাবা সুকুমার সাহা ঘুমোতে যান।  তাঁর দাবি, খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি।  ঘুমানোর আগে মেয়েকে পাশে ঘরে কাজ করতে দেখেছিলেন তিনি। ঘুমের মধ্যে  পোড়া গন্ধ  পান। প্রথমে ভেবেছিলেন পাশের বাড়িতে কারোও রান্না পুড়ে গিয়েছে। কিন্তু মেয়ের আর্তনাদ শুনেই ঘুম থেকে উঠে পড়েন তিনি।


আরও পড়ুন: 'তিতলি'-র ঝাপটায় ভাসবে বঙ্গ!  কোথায় এখন ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান


কিশোরীর বাবার দাবি, বাথরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বাইরে থেকে আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছিল। তখনই বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন তিনি। প্রতিবেশীদের ডেকে বাথরুমের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তিনি। অগ্নিদগ্ধ মেয়েকে কম্পল চাপা দিয়ে  প্রথম চাঁচল হাসপাতালে নিয়ে যান।   সেখান থেকে তাকে  মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে  স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিত্সকরা  জানিয়ে দেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে পূজার।


আরও পড়ুন: আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, বাতিল বহু ট্রেন, বদলে গেল সময়সূচি


কিন্তু পূজার এই অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।  পূজা কি আত্মহত্যা করেছে? নাকি অন্য কেউ তার গায়ে আগুন ধরিয়েছে? এই সব প্রশ্ন নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পরিবারে কারোর সঙ্গেই ঝগড়া হয়নি পূজার। এমনকি কেউ তাকে বকাবকিও করেননি বলে দাবি পূজার বাবা-মায়ের। তবে কেন আত্মহত্যা করতে গেল পূজা? তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।