দ্বিতীয় বার করোনায় আক্রান্ত জলপাইগুড়ির এক স্বাস্থ্যকর্মী, কেন এমনটা হলো? ধন্দে চিকিত্সকরা
দ্বিতীয় বার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ তাঁর খোঁজ নিতে শুরু করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দ্বিতীয় বার করোনায় আক্রান্ত জলপাইগুড়ির কদমতলা এলাকার এক স্বাস্থ্য কর্মী। তিনি বর্তমানে কোচবিহারে চিকিৎসাধীন। তাঁর এই দ্বিতীয় বার করোনা আক্রান্তের খবর মেলায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চিকিত্সকদের কপালে। স্বভাবতই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। কী কারণে দ্বিতীয় বার করোনায় আক্রান্ত হলেন? তিনি কি নতুন করে করোনা আক্রান্তে রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন?
চিকিত্সকরা মনে করছেন, প্রথম বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিন পর ওই ব্যক্তির পুনরায় সোয়াব পরীক্ষার সময় শরীরে ভাইরাসের লোড কম ছিল। জানা যাচ্ছেন, ওই ব্যক্তি এই মুহূর্তে সুস্থ রয়েছেন। একটি ভিডিয়ো বার্তায় তাঁর সুস্থতার খবরও জানিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য কর্মী। জলপাইগুড়ি শহরের একজন অতি পরিচিত সমাজসেবী তিনি। দ্বিতীয় বার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ তাঁর খোঁজ নিতে শুরু করেন।
আরও পড়ুক: ভিডিয়ো: কার্গিল দিবসে শহীদদের স্মরণে কবিতা পাঠ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের
এই ঘটনায় অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি চিকিত্সক সুশান্ত রায়ের কাছে আমাদের প্রশ্ন ছিলো, কেনো একজন মানুষ দ্বিতীয় বার করোনায় আক্রান্ত হয়? উত্তরে তিনি জানান, ওই ব্যক্তি গত ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এরপর গত ১৫ জুন তাঁর পুনরায় কোভিড পরীক্ষা হয়েছিলো। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো। এরপর গত ২৪ জুলাই তাঁর দেহে ফের করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
এই ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভি আর ডি এল ল্যাবের দায়িত্বে থাকা প্রফেসর মল্লিকের সঙ্গে কথা বলে জি় ২৪ ঘণ্টা। তিনি জানান, গত ১৫ জুন ওই ব্যক্তির সোয়াব পরীক্ষার সময় তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের লোড কম ছিলো ( C T Value 40 এর উপর ছিলো) তাই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। অথবা তাঁর কোনও ভাবে রি-ইনফেকশন হয়েছে। তবে, এই দুইয়ের মধ্যে কোনও একটিতে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা জানতে গবেষণা চলছে। এর উত্তর জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
প্রফেসর মল্লিকের কথায়, "করোনা একদম নির্মুল হতে আক্রান্ত হওয়ার সময় থেকে মোট ২৯ দিন সময় লাগে। সেইজন্য ১৪ দিন হাসপাতালে থাকার পর করোনা রোগীকে আরও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার নির্দেশ দেন ডাক্তারবাবুরা।"