সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: বাঙালির সঙ্গে নাড়ু ওতপ্রত ভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালির ঘরে পুজো হবে আর নাড়ু হবেনা, এই রকমটা হয়না বললেই চলে। ষষ্ঠীর বোধন হোক বা সপ্তমীর নৈবিদ্য, মহা অষ্টমীর ভোগ হোক বা বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় বা আশীর্বাদ, নাড়ু ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ। আগেকার দিনে  নাড়ু তৈরির সুগন্ধ জানান দিতো পুজো আসতে আর দেরি নেই। প্রত্যেক বাড়িতে মা ঠাকুমারা নারকেল কুরে গুড় কিংবা চিনি দিয়ে তৈরি করতেন নাড়ু। এর পাশাপাশি খই, সিড়ি, মুড়ি, তিল দিয়েও তৈরি করতেন নাড়ু। আর বাড়ির ছোটরা সেই নাড়ু খাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করত। সে সব এখন স্মৃতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Howrah Boy Death: রাতভর নিখোঁজ, নালার হাঁটুজলে ছেলে ডুবল কীভাবে, অন্য কারণ দেখছে স্কুলপড়ুয়ার পরিবার


বর্তমান সময়ে চরমতম ব্যস্ততার যুগে কাজের ফাঁকে সময় বের করে রকমারি নাড়ু তৈরি করতে প্রায় কেউই অবসর পান না। অবসর পেলেও নাড়ু তৈরি করার সেই সদিচ্ছাটাই অনেকের মধ্যে থাকেনা। তাই নারকেলের সেই রকমারি নাড়ুর স্বাদ ভুলতে বসেছে বাঙালি। ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে পুজোর সঙ্গে জড়িত আর এক আবেগ। তাই এবার বাঙালির মুখে নাড়ুর স্বাদ ফিরিয়ে দিতে, সেই সঙ্গে মনে নাড়ুর আবেগ ফিরিয়ে দিতে, নাড়ু তৈরি করে হোম ডেলিভারির ব্যবসা শুরু করেছেন কাটোয়ার গৃহবধূ রিক্তা দাস। রিক্তা জানিয়েছেন, কোভিড মহামারীর সময় বাবার কাজ চলে যাওয়ায়, সেই সময় সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়ছিল। পাশাপাশি নিজের পড়াশোনার খরচও বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই সংসারের হাল ধরতে এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন রিক্তা দাস। তখন অল্প সল্প চাহিদা থাকলেও কখন যে তাঁর তৈরি নাড়ু সাড়া ফেলে দেবে তা তিনি ভাবতেও পারেননি। এখন কাটোয়ার গৃহবধূ রিক্তা দাসের হাতে তৈরি নাড়ুর চাহিদা তুঙ্গে।  



রিক্তা জানিয়েছেন, বাঙালির মুখে নাড়ুর স্বাদ ফিরিয়ে দিতে পেরে তিনি খুশি। তিনি আরও জানান, তাঁর হাতের তৈরি নাড়ু হোম ডেলিভারির মাধ্যমে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন স্থানে তো পৌঁছে গিয়েছেই, সেই সঙ্গে ভিন জেলাতে, ভিন রাজ্যে, এমন কি ভিন দেশেও পারি দিচ্ছে প্যাকেট বন্দি হয়ে। রিক্তার এই কাজে সাহায্য করেন তাঁর মা বাবা ও তার স্বামী। রিক্তার সঙ্গে মা হাত লাগান রকমারি নাড়ু তৈরি ও প্যাকিং করার কাজে,  হোম ডেলিভারীর কাজ দেখেন বাবা ও স্বামী। নাড়ু তৈরি করলেও তাঁর থেকে তাঁর মেয়ের হাতের তৈরি নাড়ুর স্বাদ অতুলনীয় এমন টাই জানান রিক্তার মা। সারা বছর অল্প সল্প চাহিদা থাকলেও জন্মাষ্টমী থেকে লক্ষী পূজো পর্যন্ত নাড়ুর চাহিদা থাকে তুঙ্গে। পুজোর আর মাত্র কয়েক দিন বাকি তাই নাড়ু তৈরি ও তার ডেলিভারি দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কাটোয়ার গৃহবধূ রিক্তা দাস। যদিও এই নাড়ুর নাম 'কাটোয়া ভোগ' কেউ দেননি। আমরাই গর্বের সঙ্গে এটাকে 'কাটোয়া ভোগ' বলে উল্লেখ করেছি।  


আরও পড়ুন,   Malda Flood: বিজেপি বিধায়ক এলাকায় ঢুকলে ঝাটা পেটা করব, হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ মহিলাদের


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)