নিজস্ব প্রতিবেদন: শুভেন্দু যোগেই কি নেতৃত্বের কোপ পড়লেন? তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হলেন দলের বাঁকুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ দাস। সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন শাসকদলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান শুভাশিস বটব্যাল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: এবার কি তাহলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন শুভেন্দু? জল্পনা উস্কে দিলেন সৌমিত্র খাঁ


কেন এমন সিদ্ধান্ত? সাম্প্রতিক কালে খোদ দলের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ দাসের আচরণে তৃণমূল নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়েছে বারবার। মাস খানেক আগে বাঁকুড়ার রানীবাঁধে একটি সভা বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ। সেবার প্রকাশ্যে তৃণমূল বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার সমালোচনায় সরব হন তিনি। মন্ত্রীকে 'লবিবাজ' বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। তার ফলও মেলে হাতেনাতে। তৃণমূলের তরফে শোকজ করা হয় বাঁকুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ দাসকে। দলীয় সূত্রে খবর, শোকজের জবাব সন্তোষজনক ছিল না। তার উপর আবার কালীপুজোর দিন বাঁকুড়ায় শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক সভায় যোগ দেন ওই তৃণমূল। শেষপর্যন্ত শুক্রবার বিদ্যুৎ দাসকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, কোনও একটি কারণে নয়, একাধিক দল বিরোধী কাজের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। তবে যাঁকে বহিষ্কার করা হল, সেই বিদ্যুৎ দাসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


আরও পড়ুন: তৃণমূল ভবনে শনিবার অভিষেকের জরুরি তলব মালদা তৃণমূলের কোর কমিটিকে


উল্লেখ্য, লকডাউনের আগে থেকে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। একের এক সরকারি পদ থেকে পদত্যাগ করছিলেন তিনি। মন্ত্রিত্বটাই যা ছিল, শুক্রবার সেই পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিলেন রাজ্য়পাল ও মুখ্য়মন্ত্রীকে। ঘটনার শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, শেষবেলায় আলোচনার মাধ্য়মে শুভেন্দু 'মানভঞ্জন'-এর চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকী, সদ্য প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী নিজেও নাকি আলোচনায় আগ্রহী! পরিস্থিতি কোন দিকে গডায়, সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।