Diamond Harbour Lover Suicide: ট্রেনে প্রথম আলাপেই গৃহবধূকে `পছন্দ`, ধীরে ধীরে `ঘনিষ্ঠতা`; নিরাশ হতেই `চরম` পদক্ষেপ যুবকের
যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ নিজের দূরবস্থার কথা জানিয়ে একাধিকবার যুবকের থেকে নগদ অর্থ নিয়েছিলেন। যুবককে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি।
নকিবুদ্দিন গাজি: গৃহবধূর প্রেমের টানে পূর্ব বর্ধমান থেকে ডায়মন্ড হারবারে পাড়ি। এরপর নিরাশ হয়ে ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নিল যুবক। গোটা ঘটনায় ডায়মন্ড হারবার থানার বাসুলডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চগ্রামে চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, যুবক পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। নাম ইয়ার মহম্মদ মল্লিক। ৮ মাস আগে কেরলে কাজে যাওয়ার পথে তাঁর সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরিচয় হয়। আলাপের পর নিজেদের ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন তাঁরা। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ নিজের দূরবস্থার কথা জানিয়ে একাধিকবার যুবকের থেকে নগদ অর্থ নিয়েছিলেন। যুবককে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি।
মৃত যুবকের পরিবারের লোকজনের দাবি, শনিবার সকালে কেরলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পূর্ব বর্ধমানের বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন ইয়ার মহম্মদ মল্লিক। পরে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিসের থেকে তাঁর জানতে পারেন, ডায়মন্ড হারবার থানার বাসুলডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চ গ্রামে তাঁদের ছেলে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। রবিবার ডায়মন্ডহারবার পুলিস মর্গে গিয়ে ইয়ার মহম্মদ মল্লিকের দেহ শনাক্ত করে পুলিস। পাশাপাশি এই ঘটনায় ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
জানা গিয়েছে, শনিবার পঞ্চগ্রাম এলাকায় ইয়ার মহাম্মদ মল্লিক রাস্তার উপর বিষ খেয়ে নেয়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পঞ্চগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, শনিবার ওই যুবক উস্থি থানার এক গৃহবধুর সঙ্গে দেখা করতে যান। দেখা না হওয়াতে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই যুবক। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে ডায়মন্ড আবার থানার পুলিস।