নিজস্ব প্রতিবদন- ১৩ কেজি হরিণের মাংস সমেত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মইপিঠ থানার পুলিস। ৩৭ বছর বয়সী মণীন্দ্রনাথ দাস নামের সেই ব্যক্তির কাছ থেকে হরিণের মাংস ছাড়াও বন্য পশু ধরার একটি ফাঁদ উদ্ধার করেছে পুলিস ও বন দফতর। হরিণ ছাড়াও অন্য বন্যপ্রাণীদের ফাঁদ পেতে ধরা হয় সেই ফাঁদের সাহায্যে। বন্যপ্রাণী শিকার আটকানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বন দফতরের সামনে। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে চোরাশিকারীদর ফাঁদে পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার মারা যায়। তার পর থেকেই প্রকাশ্যে আসে, ওই সব এলাকায় ফাঁদ পেতে ব্যাপক হারে চোরাশিকার চালাচ্ছে এক বা একাধিক চক্র। এর পরই চোরাশিকারীদের ধরার জন্য অভিযান চালায় বন দফতর। আর সেই অভিযানের সময় বন দফতরের আধিকারিকরাও আক্রান্ত হয়েছিলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  রাজ্যের ২০ শতাংশ পঞ্চায়েতের উন্নয়ন পিছিয়ে, অভিনব পদক্ষেপ নিল সরকার


দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডিএফও মিলন মণ্ডল বলেছেন, ''ফাঁদ পেতে বন্য প্রাণীদের শিকার করার পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আজমলমারি দুনম্বর কম্পার্টমেন্টে দুদিন আগে হরিণটিকে মারা হয়েছিল। ফাঁদ পেতে হরিণটিকে মারা হয়েছিল। বছর দেড়েক আগে হরিণ মারার ফাঁদে পড়ে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার মারা গিয়েছিল। তা ছাড়া এই ধরণের ফাঁদে পড়ে অনেক বন্য প্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে। এই চোরাশিকার বন্ধের জন্য বন দফতর সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে।'' তিনিই জানান, এদিন রাত একটা নাগাদ কুলতলির বৈকুন্ঠপুর গ্রামে মণীন্দ্রনাথ দাস নামের ওই ব্যক্তির বাড়িতে যৌথ অভিযান চালায় বন দফতর ও মইপিঠ থানার পুলিস। ওই চক্রের বাকিদের ধরার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বন দফতর ও পুলিস।