নিজস্ব প্রতিবেদন:   অন্ধকার গলিতে দাঁড়িয়ে চলছিল মদ্যপান।  ‘গার্লফ্রেন্ড’দের সঙ্গে নিয়েই প্রকাশ্যে চলছিল অশ্লীল কাজ! দশমীর রাতে বাড়ির সামনে এই দৃশ্য সহ্য করতে পারেননি পেশায় জুটমিল শ্রমিক। বলেছিলেন, “বাড়ির সামনে থেকে সরে অন্য কোথাও গিয়ে এসব করো... বাড়িতে ছোটো ও বড়রা রয়েছে...” আর ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা।  প্রতিবাদী যুবককে তাঁরই বাড়ির সামনে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। দশমীর রাতে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল হুগলির মগরা বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ডিজে-র সঙ্গে নাচ!  শোভাযাত্রায় পিষে মৃত্যু ৮ জনের


সাহেব বাগানের বাসিন্দা লালবাবু পাসোয়ান জুটমিলের শ্রমিক। চার সন্তান, স্ত্রীকে নিয়ে যৌথ পরিবারেরই থাকতেন তিনি। বাড়িতে তাঁর বড় ভাই, তাঁদের স্ত্রী-সন্তরাও রয়েছে। দশমীর রাতে পরিবারের সঙ্গে ঠাকুরও দেখে আসেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, রাতে দশটার পর  কয়েকজন যুবক যুবতী লালবাবুর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মদ্যপান করছিল। তারপরই বান্ধবীর সঙ্গে অশ্লীল কাজও করছিল তারা। মাঝেমধ্যে গালিগালাজও করছিল। ঘর থেকে বেরিয়ে লালবাবু প্রথমে তাদের অন্যত্র চলে যেতে বলেন। অভিযোগ,  প্রথমে দুতিন বার বলার পরও কথা কানে নেয় না তারা। এরপরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই যুবকযুবতীদের উদ্দেশে উচ্চস্বরে কথা বলেন তিনি।


আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়েছিল মেয়ে... উদ্ধার খুবলে খাওয়া দেহ


অভিযোগ, ঠিক কিছুক্ষণ পরে পাশের এলাকার  করন মাহাতো সহ আট দশ জন যুবক গাড়ি করে এসে লালবাবুকে বাড়ি থেকে বের করে। এরপর চলতে থাকে এলোপাথাড়ি মারধর।  চড়,কিল,ঘুষি ,লাথি মারতে শুরু করে তারা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন লালবাবু।  তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর  হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।  গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। লালবাবুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিস।