নিজস্ব প্রতিবেদন:  নর্দমার মধ্যে পড়েছিল এক মহিলার দেহ। হাতে শাখা পলা, মাথায় সিঁদুর।  বস্তাবন্দি, হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল দেহ। পুলিস ঘটনার কিনারা করতে পারছিল না। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, দাম্পত্য কলহের জেরে খুন নয়তো কোনও বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তদন্ত যত এগোতে থাকে পুলিসের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় এই ঘটনায় জড়িত মহিলার শ্বশুর, শাশুড়িই। তাও কোনও অশান্তি বা রোষের কারণে নয়, কেবল তন্ত্রসাধনার কারণই কেড়ে নেওয়া হয়েছে ওই মহিলার প্রাণ। দুর্গাপুরের মহিষ্কাপুর প্লটে  ঘটল চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ঘরে মা, বাবা ও মায়ের পুরুষ বন্ধু! পুজোর বাজার সেরে ফেরার পর তিন জনকে ঘরের মধ্যে যে অবস্থায় দেখলেন ছেলেমেয়ে


চলতি মাসের ২ তারিখে দুর্গাপুরের  হুচুকপাড়ায় তামলা নালাতে সোনিয়া মিদ্দা নামে বছর ৩৫-এর এক মহিলার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। ওই মহিলাকে পায়ে দড়ি বেঁধে বস্তায় ঢুকিয়ে খুন করে জলে ফেলে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানায়।  বুধবার সকালে দুর্গাপুর থানা এলাকার মহিষ্কাপুর প্লট থেকে মৃতার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি কে আটক করে।


আরও পড়ুন:  পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!


অভিযোগে ওই মহিলাকে তার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি খুন করে বস্তাবন্দি করে নর্দমায় ফেলে দেয়। সোনিয়ার স্বামী রাজেশ মিদ্দা বাইরে থাকতেন বলে জানা গেছে। দুর্গাপুর থানার পুলিশ তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।  শ্বশুর মলিন্দ্র ও কুন্তি তাদের বড় বৌমা সোনিয়ার ওপর শারিরীক নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ। কিন্তু কা কারনে বৌমাকে খুন করল পেশায় রিক্সাচালক মলিন্দ্র মিদ্দা? সুত্র থেকে জানা যাচ্ছে ওই রিক্সাচালক নাকি সাম্প্রতিক কালে তন্ত্রসাধনা করছিল। সেই কারনে কি বৌমাকে খুন করে কোনও সাধনায় সিদ্ধিলাভ করতে চেয়েছিল মলিন্দ্র? এমন কথাও উঠে আসছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।