নিজস্ব প্রতিবেদন:  বুধবার গভীর রাতে মাথাভাঙ্গার হাজরাহাটের বালাসী এলাকায় খুন হলো এক তৃণমূল কর্মী। নাম গণেশ সরকার। এ ঘটনায় গুরুতর জখম মৃতের দাদা বিমল সরকার ও বৌদি  মমতা সরকার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগ, বুধবার রাত ১২টার নাগাদ স্বদেশ হালদার নামে এক ব্যক্তি দলবল নিয়ে বিমল সরকারের বাড়ি এসে দরজায় টোকা মারে। এত রাতে কে এসেছে সেটা দেখতে বাড়ির প্রধান ফটক খোলে গণেশ। কিছু বোঝার আগেই গণেশকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে স্বদেশ হালদারের লোকজন। ভাইয়ের চিত্কার শুনে তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন গনেশের দাদা ও বৌদি। এই খুনোখুনি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।


তৃণমূলের দেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় দাবি, " দীর্ঘদিন বিজেপির হার্মাদবাহিনী বিমল সরকার এবং তাঁর পরিবারকে বিজেপি করার জন্য চাপ দিতে থাকে। তাঁরা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল করি , কেন বিজেপি করব?  তখন তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এটাই তার পরিণতি।"  


তৃণমূলের দাবি উড়িয়ে বিজেপির স্থানীয় মন্ডল সম্পাদক বিপুল রায়ের দাবি, এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক গন্ডগোল। স্বদেশ হালদারের সঙ্গে বিমল সরকারের পরিবার জমি নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনভাবেই জড়িত নয়। তৃণমূল ঘটনার সঙ্গে বিজেপির নাম জড়িয়ে গায়ে কাদা ছিটানোর পাশাপাশি  দলের ভাবমুর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।"এদিকে ঘটনার অভিযুক্তরা পলাতক।


আরও পড়ুন- কোভিড মৃতদেহ দেওয়া হবে পরিবারকেই, জনস্বার্থ মামলায় রায় কলকাতা হাইকোর্টের


 এলাকা সূত্রে পাওয়া এই দুই পরিবারে মধ্যে বহুদিন জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল। জমি নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাদের মধ্যে ঝামেলা হত।  খুনের পিছনে সত্যিই জমি সংক্রান্ত বিবাদ  কিনা তা তদন্তে করে দেখছে মাথাভাঙ্গা থানার  পুলিস।