নিজস্ব প্রতিবেদন: পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের অভিযোগ। আইনি পথে নয়, ধর্মীয় সংগঠনের মধ্যস্থতায় সমস্যা মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত সালিশি সভায় তিন তালাক দিয়ে দাম্পত্যজীবনে ইতি টানল স্বামী! থানায় অভিযোগ দায়ের হলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়িতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয় সূত্রের খবর, বিন্নাগুড়ি চা বাগান এলাকা বাসিন্দা জিয়াত খাতুন। বছর দুয়েক আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু দাম্পত্যজীবন সুখের হয়নি। ওই তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শ্বাশুড়ি তাঁকে পছন্দ করতেন না। একমাত্র সন্তানের জন্মের পর আবার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতে শুরু করেন স্বামীও। বাধ্য হয়ে সন্তানকে নিয়ে বাপের চলে আসেন জিয়াত।


আরও পড়ুন: পড়া বলতে না পারার শাস্তি‌! হাওড়ায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে 'বেধড়ক মার' গৃহশিক্ষকের


তারপর? পারিবারিক সমস্যা সমাধানের জন্য মুসলিমদের ধর্মীয় সংগঠন আঞ্জুমান কমিটির দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু লকডাউনের কারণে প্রায় ১০ মাস কোনও সভা হয়নি। শেষপর্যন্ত ১ জুন বিন্নাগুড়ির জামা মসজিদে যখন দু'পক্ষের সঙ্গে যখন আলোচনায় বসেন আঞ্জুমান কমিটির সদস্যরা, তখন জিয়াতকে, তাঁর স্বামী তিন তালাক দেন বলে অভিযোগ। এরপর সুবিচারের আশায় পুলিসের দ্বারস্থ হন ওই গৃহবধূ। পুলিস সূত্রে খবর,  নির্যাতিতা বিন্নাগুড়ি আউটপোস্ট অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন: প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে নিখোঁজ, বীরভূমে স্কুলের হস্টেলে মিলল তরুণ-তরুণীর দেহ


প্রসঙ্গত, মুসলিম সমাজে তিন তালাক প্রথার রোধ করতে কড়া আইন এনেছে মোদি সরকার। সেই আইনে এই তিন তালাক প্রথা এখন ফৌজদারি অপরাধ। আইন ভঙ্গ করলে তিন বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে। আগে এই প্রথা অনুযায়ী, তিন তালাক উচ্চারণ করে, এমনকী বার্তা পাঠিয়ে কিংবা  ইমেল করেও স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করতে পারতেন মুসলিম স্বামীরা।     


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)