নান্টু হাজরা: প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ। অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। চারঘাট পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে এই টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। মছলন্দপুরের চন্ডিপুরের বাসিন্দা মাঝার আলী তার স্ত্রীর চাকরি জন্য কয়েক লক্ষ টাকা দেন। চাকরি না হওয়ায় মঙ্গলবার সিবিআই ও ইডি দফতরে নথি নিয়ে অভিযোগ জানাতে আসেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মছলন্দপুরের চন্ডিপুরের বাসিন্দা মাঝার আলীর অভিযোগ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তিনজন এবং এদের সহকারী আরও তিনজন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘একজনের নাম পঙ্কজ দে আমাদের গ্রামে বাড়ি যাকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চিনি। ওনার বেয়াইমশাই হচ্ছে নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস। এই নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস বর্তমানে শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তার সহকারী একজন আছে যার নাম পবিত্র মন্ডল। যার বাড়ি গোবরডাঙ্গা। এরা সকলে মিলে একটি যৌথ প্রয়াস চালিয়ে কয়েকশো মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছে’।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: নবজোয়ারেও ব্যালট লুঠ! 'আবার ভোট নেওয়া হবে', জানালেন অভিষেক


তিনি আরও বলেন, ‘প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারিতে চাকরি দেবে বলে। কারোর কাছে দশ লাখ কারোর কাছে বারো লাখ করে টাকা নিয়েছে। ২০১৯ সালে নভেম্বর মাসেই টাকা নিয়েছিল। এরপরে বিকাশ ভবনে ভেরিফিকেশন করতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরে আমাদেরকে জাল টেট সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়’।


তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি এখন সিবিআই দফতরে কমপ্লেন দিতে এসেছি। এতদিন পরে এসেছি তার কারণ আমরা জানতাম পুলিসের কাছে গেলে হয়তো টাকাটা রিকোভারি হবে না। এই জন্য ওয়েট করছিলাম বারবার চাপ দিচ্ছিলাম ওনাকে। ওনারা একটা চেক দিয়েছিল। চেকটা বাউন্স হয়ে যায়। আমরা অনেক অপেক্ষা করছিলাম যেহেতু গয়না বিক্রির টাকা জমি বিক্রির টাকা। বলে বলে কিছু টাকা রিকভারি হয়েছিল কিন্তু বাকি টাকা এখনও পাইনি। আমরা দিয়েছিলাম সাড়ে ৫৩ লক্ষ টাকা’।


আরও পড়ুন: Al Queada Member Arrested: দাদপুরে মামারবাড়িতেই লুকিয়ে ছিল সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গি, গ্রেফতার করল এসটিএফ


তিনি আরও বলেন, তাঁরা সাত আট জন মিলে সেই টাকা দিয়েছিলেন। তাঁর ভাই, স্ত্রী এবং বন্ধু-বান্ধবদের জন্য। ২০২২ সালের শেষের দিকে যখন তাঁরা বলেন পুলিসে যাবেন তখন একটি রফা হয়। এরপরে একটা প্রপার্টি তাঁদের নামে লিখে দেয় এবং আরও পাঁচ মাসের সময় নেয়। যদিও টাকা পাননি এবং যে সম্পত্তিটা পাওয়া যায় তার রেজিস্ট্রির ডেট করার পরেও সেটাকে ক্যান্সলেশনের জন্য এটি ভুয়া মামলা করেন।


তাঁদের আরও দাবি টাকাটা রিকভারির জন্য ওনাদের সম্মান বাঁচানোর জন্য মামলায় যাওয়া হয়নি। নিজের মেয়েকে এই ভুয়া চাকরি করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ তার। ওই মহিলার নাম নবনীতা রায় বিশ্বাস।


আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে ওই মহিলার স্বামীকেও চাকরি করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ‘এটা নিজে আমাদেরকে স্বীকার করেছেন যে উনি টাকার মাধ্যমে করেছেন। অনেক মিনিস্টারের নাম নিয়েছিলেন। উনি তখন পার্থ চ্যাটার্জির নাম নিয়েছিলেন। বলেছিলেন ওনার হাত দিয়ে সব হচ্ছে চিন্তা করতে হবে না আমার মেয়েকে করে দিয়েছি জামাই গ্রুপ ডি তে করিয়ে দিয়েছেন সেটাও আমাদেরকে বলেছেন। এবং তারা বহাল তবিয়তে এখনও চাকরি করছেন। সবকিছুর ভিডিও রেকর্ডিং, অডিও রেকর্ডিং ক্লিপিং আছে। সেগুলো যাচাই করলে ওনারা আরও তথ্য পাবেন আমার কাছ থেকে’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)