Kalna: হাঁটতে পারে না, তাতে কী? বাবার কোলে চড়েই মাধ্যমিক দিচ্ছে বিষ্ণু...
Kalna: হাঁটতে পারে না! কিন্তু ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। সেই ইচ্ছের উপর ভর করেই, সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে বাবার কোলে চড়ে এসে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বিষ্ণু।
সঞ্জয় রাজবংশী: জন্ম থেকেই দু'পা কাজ করে না, স্বাভাবিক ভাবেই চলাফেরা করতেও পারে না। তবে এই প্রতিবন্ধকতাতেও ভেঙে পড়েনি সে। খোওয়নি মনের জোর। মনের জোরেই এগিয়ে চলেছে সে। এগোতে-এগোতে চলে এসেছে মাধ্যমিকের দোরগোড়ায়। কালনার বিষ্ণু বসাক।
আরও পড়ুন: Purba Bardhaman: দুঃসাহসিক! সাপের কামড় খেয়েও মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসল অর্জুন...
ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। সেই ইচ্ছের উপর ভর করেই, সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে বাবার কোলে চড়ে এসেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কালনার বিষ্ণু বসাক। কালনার পূর্বস্থলী-১ নম্বর ব্লকের নুসরতপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হাটসিমলা এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণু এবছর মাধ্যমিক দিচ্ছে। নুসরতপুর পারুলডাঙা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সে। চাপাহাটি কেপিসি বালিকা বিদ্যালয়ে সিট পড়েছে তার।
আজ, সোমবার সকালে বাবার কোলের চেপে চাপাহাটি কেপিসি বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পৌঁছয় সে। বিষ্ণুর বাবা বিমল বসাক জানান, ছোট থেকেই ছেলে দাঁড়াতে এবং হাঁটতে পারে না। স্কুলের শিক্ষকদের বলে পরীক্ষা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, যে কয়েকটি পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে, সেগুলি ভালোই দিয়েছে বিষ্ণু।
এদিকে, মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ল কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ছাত্রী। পর্ষদের ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালে বসেই সোমবার পরীক্ষা দিল সে। সুলতানপুর হাইস্কুলের ছাত্রী মামনি খাতুনের মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে বৈদ্যপুর আর কে বিদ্যাপীঠে। আজ, সোমবার ইতিহাস পরীক্ষার দিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার মুহূর্তেই তার অসহ্য পেটের যন্ত্রণা অনুভূত হয়। তড়িঘড়ি বৈদ্যপুরের প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে তাকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: বিশাল আকৃতির বাঘা মাছ দেখতে বাজারে উপচে পড়ল ভিড়...
এদিকে আর এক আশ্চর্যের ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে। সাপের কামড় খেয়েও সেখানে পরীক্ষা দিল এক প্রার্থী। তাজ্জব সকলে। গভীর রাতে সাপে কামড়ায় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তার পরেও প্রবল মানসিক শক্তির পরিচয় দিয়ে হাসপাতালের বেডে বসেই সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল আজ। পূর্ব বর্ধমানের অর্জুনের মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে বড় বেলুন হাইস্কুলে। ভাতারের বালসিডাঙা গ্রামের বাসিন্দা ভাতার বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র অর্জুন মাঝি। রবিবার গভীর রাতে বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তার বাঁ-পায়ে সাপ দংশন করে বলে জানা যায়। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই সে চিকিৎসাধীন।