নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনে সব কিছুই স্তব্ধ হয়ে যায়নি। বিশেষ করে মানবিকতা ও সহানুভূতি । রেলনগরী খড়্গপুর শহরের গোলবাজার আজাদ বস্তি এলাকায় সে কথায-ই প্রমাণিত হল। নজির তৈরি করলেন বিশেষভাবে সক্ষম যুবক অরুণ শ্যামল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খড়্গপুর শহরের বাসিন্দা অরুণ নিজে হুইল চেয়ার ছাড়া  চলাফেরা  করতে পারেন না । কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধতা দমাতে পারেনি তাঁকে। বাধাকে হেলায় হারিয়ে, এই দুর্দিনে এক বিশেষভাবে সক্ষম পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন তিনি। আজাদ বস্তির ওই পরিবারের হাতে চাল, ডাল, চিঁড়ে, মুড়ি, বিস্কুটের প্যাকেট তুলে দিলেন অরুণ।


খড়্গপুরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আজাদ বস্তিতে স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে নিয়ে থাকেন দিনবন্ধু বেহেরা নামে বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী কমলা বেহেরাও পক্ষাঘাতগ্রস্ত। ২ ছেলেও বিশেষভাবে সক্ষম। মেয়ে পদ্ম বেহেরাও অসুস্থ। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় তিনি-ই শহরের একটি ক্যাটারিং সংস্থায় বাসন ধোওয়ার কাজ করে কিছু রোজগার করতেন। কিন্তু এখন লকডাউনে সেই কাজও বন্ধ। ফলে রোজগারহীন হয়ে পড়েছিল ওই পরিবার।


এই পরিস্থিতিতে খবর পেয়েই পাশে দাঁড়ান অরুণ। অরুণের সঙ্গে পদ্মার দেখা হয়েছিল একটি বিয়েবাড়িতে। ক্যাটারিংয়ের খাওয়ার প্লেট ধোওয়ার সময় আলাপ হয়েছিল দুজনের। পদ্মার পরিবারের কথা জানতেন অরুণ। সেকথা মনে রেখেই লকডাউনের মধ্যে অরুণ ফোন করেন পদ্মাকে। জানতে পারেন, পদ্মার বাড়ির বিপদের কথা। তারপর নিজেই উদ্যোগী হয়ে দিনবন্ধু বেহেরার বাড়িতে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যান অরুণ।


এই দুর্দিনে অরুণের মতো সহৃহদয় যুবকের সাহায্যে হাসি ফোটে বিশেষভাবে সক্ষম ৪ জনের পরিবারে। অন্যদিকে দুর্দিনে পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি অরুণও।


আরও পড়ুন, লকডাউনে মিলছে না কনট্রাসেপটিভ, গর্ভবতী হতে পারেন ৭০ লাখ মহিলা!