নিজস্ব প্রতিবেদন: জেলের মধ্যেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলন এক বিচারাধীন বন্দি।  মেদিনীপুর সংশোধনাগারের ঘটনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবক কলকাতার হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম মুকুন্দ দোলুই। বছর ৩৮-এর এই যুবকের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা টাউন এলাকায়।  পরিবারেরই এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বিচারাধীন বন্দি সে।


আরও পড়ুন: প্রেমিকা অন্য যুবকের হাত ধরে পার্কে ঘুরছে, শাস্তি দিতে প্রেমিক বন্দুক নিয়ে যেতেই হেসে ফেললেন সকলে! 


সংশোধনাগারের কর্মীরা জানাচ্ছেন, বুধবার রাত ১ টার সময় তাঁরা গোঙানির শব্দ শুনতে পান। জেলের অন্যান্য বন্দিদের বেশিরভাগই ঘুমিয়ে পড়েছিল।  তারা   ৭বি সেলের কাছে পৌঁছতেই দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে।  ওই সেলেই থাকত মুকুন্দ। তাঁরা দেখেন, মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছে মুকুন্দ। তার প্যান্টও রক্তে ভিজে গিয়েছে।


আরও পড়ুন: “মা তোমার ছোটো ছেলেকে মেরে ফেললাম”


প্রহরারত কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা করে দেখা হয়, ব্লেড দিয়েই নিজেই যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেছে মুকুন্দ। দীর্ঘক্ষণ ধরে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে এখনও মুকুন্দের অবস্থা স্থিতিশীল নয়।  কেন এমন কাজ করল মুকুন্দ, তা এখনও পরিস্কার নয় কারোর কাছে। তবে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই এই কাজ করেছে মুকুন্দ। তবে মুকুন্দের কাছে ব্লেড কীভাবে আসল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। জেলের অন্যান্য বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ কোনও বন্দির হাতে ব্লেড বা এধরনের কিছু বস্তু হাতে এলে, সে অন্য বন্দি ওপরও হামলা করতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।