নিজস্ব প্রতিবেদন: খোদ উপাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপককে এবার শোকজ করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শোকজের জবাবও দিয়ে দিলেন ওই অধ্যাপক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত ৮ জুন। বিশ্বভারতীর পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মানস মাইতি ই-মেল মারফৎ থানায় অভিযোগ করেছেন, 'সেদিন বিকেল চারটে নাগাদ কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, শিক্ষক ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক ছিল উপাচার্যের। সেই বৈঠকে প্রায় ১৮০ জন। সেখানে সকলের সামনে তাঁকে ও অন্য অধ্যাপকদের অপমান করেন উপাচার্য। বলেন, অধ্য়াপকরা বাড়িতে বসে মোটা বেতন নিচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের পড়ানোর কোনও যোগ্যতা নেই'।  অভিযোগকারী ওই অধ্যাপকের আরও দাবি, ঘটনার প্রতিবাদ করায় অনেককে বৈঠক থেকে বেরও করে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: পুলিসের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যুর গুজব, রণক্ষেত্র কুশমন্ডি


জানা গিয়েছে,  এই ঘটনার পর গতকাল অর্থাৎ শনিবার অধ্যাপক মানস মাইতিকে শোকজের চিঠি ধরান বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। স্রেফ উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকেই নয়, এদিন সহকর্মীদেরও শোকজের জবাব পাঠিয়ে দিয়েছেন মানস। তাঁর দাবি, শোকজের চিঠি যে বলা হয়েছে, তা সত্যি নয়। সেদিনের বৈঠকে উপাচার্যকে কটুক্তি করেননি। বরং উপাচার্য নিজেই বারবার বক্তব্য পেশ করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। রাজি না হওয়ায় তাঁকে বৈঠক থেকে বের করে দেওয়া হয়। চার ঘণ্টা ধরে ওই অধ্যাপক-সহ অন্যন্য়দের রীতিমতো অপদস্থ করা হয়। 


আরও পড়ুন: বোনকে 'বাঁচাতে' ভগ্নীপতিকে শ্বাসরোধ করে মেরে দেহ নদীতে ফেলল দাদা


এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যাপকের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন (VBUFA)। তাদের বক্তব্য, উপাচার্য অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অধ্যাপকদের মুখ বন্ধ করে রেখেছেন। সেকারণে সরাসরি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে পারছেন না কেউ। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)