জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শোলা শিল্প খুবই বিখ্যাত ও জনপ্রিয় এক শিল্পকর্ম। বহুমানুষ এই শিল্পের বৃত্তে জড়িত। অনেকের রুটি-রুজিই এতে চলে। কোচবিহার জেলার এই গ্রামটি এখন খুবই বিখ্যাত। এই গ্রামকে এখন মানুষ শোলাগ্রাম হিসেবেই চেনেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Azad Kashmir: মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারে 'আজাদ কাশ্মীর', সংশোধন করা হোক, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর


এই গ্রামে মোটামুটি ৬০টি পরিবার। তারা এই শোলার কাজ করে গ্রাসাচ্ছাদন করে। এই সব পরিবারের সদস্য শোলা বা থার্মোকলের জিনিসপত্র তৈরি করে বিক্রি করেন। আগে এই গ্রামে শোলা আসত অসম থেকে। এখন অসম থেকে শোলা না আসায় তা জোগাড় করা হয় কলকাতার মাধ্যমে। 


আরও পড়ুন: রং, পেন্সিল, তুলিতে নয়, শুধু শব্দ টাইপ করে ছবি বানিয়ে ‘বিখ্যাত’ আরামবাগের সাহিদ


কী কী জিনিস তৈরি হয় এ গ্রামে? 


দেবদেবীর সাজ, দেবদেবীর গলায় পরানোর মালা, বিয়েতে ব্যবহৃত মালা, বরবউয়ের মুকুট, বরের ক্ষেত্রে যেটিকে টোপর বলা হয় ইত্যাদি। এটা ঠিক যে, আগে এগুলির খুবই চাহিদা ছিল। কিন্তু ইদানীং টোপর বা মুকুট ছাড়া এগুলি প্লাস্টিকেরও হয়।   


শোলা গ্রাম বরাবর কর্মমুখর। বহু মানুষ রাত জেগে এখানে কাজ করেন। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতি সচল থাকে। খুব কষ্ট করেই তাঁরা এই শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু শিল্পী বা কর্মীরাই ইদানীং জানাচ্ছেন, মানুষ এখন আর বেশি দাম দিয়ে শোলার তৈরি সামগ্রী কিনতে চাইছেন না।  ফলে, মানুষ যদি শিল্পসামগ্রী কিনতে না চান, তা হলে তাঁদের চলবে কী করে? 


এই গ্রামের শোলাশিল্পীবৃন্দ অবশ্য বহুদিন ধরেই প্রায় ধুঁকতে-থাকা শোলাশিল্পকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে রেখেছেন। প্রায় এসে গেল পঞ্চায়েত ভোট। সকলে আগ্রহভরে তাকিয়ে আছেন কী হয়! 


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)