রণজয় সিংহ: ফের অপহরণ? টিউশনি পড়তে দিয়ে আর বাড়ি ফিরল না কেন? মালদহে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। উৎকণ্ঠায় পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, থানায় ডায়েরি করার পরেও  ছেলের সন্ধান মেলেনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, মালদহের  চাঁচল ১ ব্লকের মহানন্দাপুর গ্রামের বাসিন্দা গয়া দাস। পেশায় তিনি দিনমজুর। গয়ার দুই ছেলে। বড় ছেলের দেবে বয়স ১৪ বছর। স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে সে। পরিবারের লোকেদের দাবি, ৮ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামে কাছেই টিউশনি পড়তে যায় দেব, কিন্তু বাড়ি ফেরেনি। কেন? আশেপাশে এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও খোঁজ মেলেনি ওই কিশোরের। তার কাছে মোবাইলও নেই। ফলে যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা।


আরও পড়ুন: Coal Smuggling: সিবিআই তদন্তের মাঝেই দুধের কন্টেনারে কয়লা পাচার! আসানসোলে গ্রেফতার ১


কোথায় গেল ছেলে? গয়া দাস জানিয়েছেন, 'বাড়িতে ওকে বকাবকি করা হয়নি। কেন এমনটা হল, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। আজ সোমবার পর্যন্ত ছেলে খোঁজ পাইনি। চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবুও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে কোনও ফোন আসেনি। কেউ যোগাযোগও করেনি'। তাহলে? চাঁচল থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ছাত্রের খোঁজ করা হচ্ছে। তবে ক্য়ামেরা সামনে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি।


এর আগে, ২২ অগস্ট আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় কলকাতা বাগুইআটির বাসিন্দা দুই ছাত্র। নাম, অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। পরিবারের লোকেদের দাবি, এক কোটি টাকা মু্ক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল। এরপর অভিযোগ দায়ের করা হয় বাগুইআটি থানায়।  ৪ জনকে গ্রেফতারও করে পুলিস। শেষপর্যন্ত একজনের দেহ পাওয়া যায় ন্যাজাটে, আর একজনের মিনাখাঁয়। বনগাঁ মর্গে গিয়ে জোড়া মৃতদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকেরা। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়. নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।


আরও পড়ুন: Sovandeb Chattopadhyay: কে দিচ্ছে টাকা? সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে বিস্ফোরক শোভনদেব!


এদিকে এই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে ক্লোজ, তারপর সাসপেন্ড করা হয় বাগুইআটি থানার আইসিকে।  ৩ দিন পর, হাওড়া স্টেশন লাগোয় এলাকা থেকে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। ধৃতকে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)