নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রত্যন্ত এলাকার কয়েক হাজার মানুষের ভরসা ছিলেন তিনিই। রাত-বিরেতে বাড়াবাড়ি হলে ডাক পেলে ফেরাতেন না কখনো। নদিয়ার করিমপুরের মানুষের কাছে তাই  চেনা নাম সঞ্জয় সরকার। 
এতজনের প্রাণ যে বাঁচিয়েছে তাঁকে আর ফিরে পাওয়া যাবে না, ভাবতেই পারছে না করিমপুর। দৌলতাবাদের ভৈরবের অতলে তলিয়ে যাওয়া অভিশপ্ত সেই বাসের যাত্রী ছিলেন সঞ্জয়বাবু। সোমবারই পেশায় হাতুড়ে চিকিত্সক সঞ্জয় সরকারের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সঞ্জয়বাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: জীবিত বা মৃত, একবার ওকে এনে দেও! অনর্গল বলে চলেছেন স্ত্রী


সোমবার ভোর পাঁচটায় বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন সঞ্জয় সরকার। বহরমপুর থেকে ওষুধ আনতে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু অসম্পূর্ণ সেই যাত্রা যে অনন্তে রওনা দেবে, তা বোঝেননি কেউ। দুপুর ১ টার মধ্যেই ফিরবেন বলে স্ত্রীকে জানিয়ে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু সকাল সাড়ে সাতটায় একটা ফোনেই সব শেষ। 
করিমপুরে সঞ্জয়বাবুর বাড়ির সামনের রাস্তায় থিক থিক করছে ভিড়। কাঁদতে কাঁদতে ঝাপসা হয়ে গিয়েছে সঞ্জয়বাবুর স্ত্রীর চোখ। বুক ফাটলেও, মায়ের কথা ভেবে নিজেকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে সঞ্জয়বাবুর দশ বছরের মেয়ে। একটা মুহূর্তে যেন পৃথিবীর শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে ছোট্ট এই মেয়েটি। মাকে বুকে টেনে নিচ্ছে বারবার, ছোট্ট ভাইকে বোঝাচ্ছে, ‘আমি আছি, সব ঠিক হয়ে যাবে।‘ 


আরও পড়ুন:  দুর্ঘটনার আসল কারণ কী? ২৪ ঘণ্টাকে চাঞ্চল্যকর বয়ান জীবিত যাত্রীদের
মর্মান্তিক সেই সকালে সঞ্জয়বাবুর বাড়িতে পৌঁছে বুক মোচড় দিয়ে উঠেছিল পোড়খাওয়া সাংবাদিকেরও। অসম্পাদিত এই ফুটেজে বিব্রত হতে পারেন আপনিও। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।



  
করিমপুর আজ বাকরুদ্ধ। শুধু প্রিয় 'ডাক্তারবাবু’কে হারিয়ে নয়, করিমপুরের ১৫ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন ভৈরবের গর্ভে। করিমপুরের কোনও বাড়িতে হাঁড়ি চড়েনি মঙ্গলবার। শুধু চোখের জলে ভিজছে গাল। ডুকরে বেরিয়ে আসা হাহাকার শুধু জানতে চাইছে, কোনওভাবেই কি ঠেকানো যেত না এই নিয়তি!