Malda: সহবাস করে যুবতীর `গর্ভপাত`, আইনি বিয়ের পরও `অস্বীকার`; সভাধিপতির ভাগ্নের `কুকীর্তি`
যুবতীকে খুনের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রেমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবতীর সঙ্গে 'সহবাস'। এরপর মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে, জোর করে 'গর্ভপাত'। এমনকী রেজিস্ট্রি ম্যারেজের পরেও যুবতীকে স্বীকৃতী না দেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত, মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতির এক আত্মীয়।
যুবতীর দাবি, বছর ছ'য়েকের মেলামেশায় তাঁরা একাধিক সময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। এর জেরে গর্ভবতীও হন তিনি। অভিযোগ, ছেলেটির চাপে তিনি গর্ভপাত করান। শুধু তাই নয়, সভাধিপতির ভাগ্নের সঙ্গে তাঁর রেজিস্ট্রি বিয়েও হয়েছে। রায়গঞ্জে সেই আইনি বিয়ে হয়। কিন্তু এখন তাঁর আইনত স্বামী, তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছেন না। এ নিয়ে চাপ দিলে তাঁকে খুনের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত।
এই ঘটনায় সোমবার সভাধিপতির বাড়ির সামনে ঘণ্টাখানেক ধরে বিক্ষোভ দেখায় ওই যুবতির পরিবার এবং গ্রামের লোকজন। অভিযুক্ত আত্মীয় হওয়ায়, সভাধিপতি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। যদিও সভাধিপতি দাবি করেন, তিনি বিষয়টির মীমাংসা করতে ওই যুবতির পরিবারকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি যুবতীর পরিবার। উল্টে তাঁরা হট্টগোল করছে। সোমবার পুলিস এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালদহের চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের ইসমাইলপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবতী। গ্রামেরই এক যুবক রয়েস রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালে তারা রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন। যুবতির অভিযোগ, তিন বছর কাটলেও এখনও স্ত্রীর মর্যাদা পাননি। নানা অজুহাত দেখিয়ে দূরে সরিয়ে রেখেছে রাকিবুল। উল্টে রেজিস্ট্রির পর একাধিকবার বাইরে নিয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছে। জোর করে গর্ভপাত করানো হয়েছে। এখন স্বামীর মর্যাদা চাইতে গেলে ফিরিয়ে দিচ্ছে।