নিজস্ব প্রতিবেদন: নিখোঁজ চালক। আর ৮৮ লক্ষের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে মাত্র সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। এই হলো জগদ্দলের এটিএম লুঠের সর্বশেষ রিপোর্ট। ঘটনার পর পরেই পুলিস তদন্ত নেমে ৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল। রবিবার বীজপুর থানা আরও ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করে বলে জানা গিয়েছে। এরই সঙ্গে এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিস। কে সেই মহিলা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস জানাচ্ছে, বন্ধু তন্ময় দে-কে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত চালক রাজ হালদার। কিন্তু কিছু টাকা ওই বন্ধুর বাড়িতে সরিয়ে রেখে দেয় সে। এ দিন তন্ময় দে-র বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছে তন্ময়ের স্ত্রী পৌলমী দে-কে। বারাকপুর মহাকুমা আদলতে ওই মহিলাকে তুলে পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে জগদ্দল থানা।


উল্লেখ্য, গত ২৬ তারিখ রাতে শ্যামনগরের আতপুরের একটি এটিএমে টাকা ভর্তি করতে গিয়ে উধাও হয়ে যায় টাকা সমেত একটি গাড়ি। জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার লকডাউনের জেরে বেশি টাকা নিয়ে একটি গাড়ি হাজির হয় এটিএম-এর সামনে। ওই গাড়িতে চালক ছাড়া বেসরকারি সংস্থার এক কর্মী ও এক সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী ছিল। এটিএম-এ টাকা ভর্তি করতে গাড়ি থেকে নামানো হয় একটি ট্রাঙ্ক। নিরাপত্তা রক্ষী-সহ ওই কর্মী এটিএম-এর টাকা ভর্তি করে এসে দেখে গাড়ি উধাও। এরপর জগদ্দল থানায় বিষয়টি জানানো হয়। রাতেই তদন্তে নেমে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় গাড়িটি। চালক পলাতক।


আরও পড়ুন- পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নষ্ট করছে কেন্দ্র, JEE-NEET নিয়ে টুইটে ক্ষোভ শিক্ষামন্ত্রীর


জানা গিয়েছে, গাড়ি চালকের বাড়ি নদিয়ার গায়েশপুর। গাড়িটি একটি ব্যক্তিগত মালিকের। বেসরকারি সংস্থার অধীনে ওই গাড়িটি ভাড়া খাটতো। বাকি টাকা উদ্ধারে নিরাপত্তা রক্ষী এবং ওই কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। চালক রাজ হালদারের খোঁজে জগদ্দল থানার ওসি দেবর্ষি সিনহার নেতৃত্বে দুটি টিম রওনা দিয়েছে বিহারে।