নিজস্ব প্রতিবেদন:  অবসর সময়ে বসে স্বামীর মোবাইল ঘাটাঘাটি করছিলেন। গ্যালারিতে ক্লিক করতেই চক্ষু চড়কগাছ স্ত্রীর। নিজের স্বামীকে অন্য এক মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ট অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। একটা-দুটো ছবি নয়, গ্যালারির অধিকাংশেই বন্দি রয়েছে দুজনের ঘনিষ্ঠ একাধিক মুহূর্ত। দেখে স্বাভাবিকভাবেই মাথা ঠিক রাখতে পারেননি তিনি। স্বামীকে ডেকে প্রশ্ন করেছিলেন, হয়েছিল দাম্পত্য কলহ। আর সেই কারণেই স্বামীর রোষের মুখে পড়ে প্রাণ দিতে হল তাঁকে। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে ফেলার কারণে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের দুর্গানগরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  ব্রেস্ট টিউমারের চিকিত্সা করাতে গিয়েই যুবতীর সামনে বেরিয়ে পড়ল ডাক্তারের আসল চেহারা


১৪ বছর আগে বারুইপুরের দুর্গানগরের বাসিন্দা পেশায় রঙ মিস্ত্রি টুকাই পাইকের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রাবণীর। তাঁদের ১১ বছরের এক ছেলেও রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে অল্প বিস্তর দাম্পত্য কলহ হলেও শ্রাবণী-টুকাইয়ের জীবনের বড় কোনও সমস্যা হয়নি। মঙ্গলবার বাড়িতেই ছিলেন টুকাই। অবসর সময়ে তার ফোন হাত দিতেই ফাঁস হয়ে যায় সব কিছু। অন্য এক মহিলার সঙ্গে টুকাইয়ের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের বেশ কয়েকটি ছবি দেখে ফেলেন শ্রাবণী। এরপরই দুজনের ঝামেলা হয়।


আরও পড়ুন: ঘরে উপস্থিত দাদা, তাঁর সামনেই বৌদির সঙ্গে ঘৃণ্য কাজ করল দেওর


চিত্কার চেঁচামেচি শুনতে পেলেও প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি প্রতিবেশীরা। কিন্তু চামড়া পোড়া গন্ধ ও আগুনের শিখা দেখেই টুকাইয়ের ঘরের দিকে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। ততক্ষণে শ্রাবণীর শরীরের অধিকাংশ পুড়ে গিয়েছে। টুকাই পালিয়ে গিয়েছে, তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।