নিজস্ব প্রতিবেদন:  পাত্রী নাপসন্দ ছিল। বাড়িতে সেকথা জানিয়েছিলেন পাত্র। কিন্তু পরিবার মানেনি। পরিবারের চাপে পড়েই বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বিয়ের ১৫ দিনের মধ্যেই স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়িতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিউড়ি থানার যুনিত পুর গ্রামের বাসিন্দা পিংকির সঙ্গে দিন পনেরো আগে বিয়ে হয় আলুন্দা গ্রামের শেখ কদম রসুল নামে এক যুবকের।  কিছুটা বাড়ির চাপে পড়েই বিয়ে করেছিলেন শেখ কদম রসূল নামে ওই যুবক, পছন্দ হয়নি বউকে। এই কারণেই বিয়ের পর থেকেই চলত অশান্তি। ছোটোখাটো কারণে বিভিন্ন সময় মারধর করা হতো নববধূকে।


আরও পড়ুন: স্ত্রী এসেছিলেন দেখা করতে, তারপরই কোয়ার্টারে যে অবস্থায় পুলিসকর্তা দেখলেন প্রতিবেশীরা


 বাপের বাড়িতেও বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলেন পিংকি। কিন্তু নবদম্পতির জীবনে সেভাবে হস্তক্ষেপ করেননি কেউই। বাপের বাড়ির লোকজন ভেবেছিলেন ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা আর হল না!


শনিবার সন্ধ্যায় অশান্তি চরমে ওঠে।  দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছিল। এই পর বাড়ির লোকের হস্তক্ষেপে কিছুটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সন্ধ্যার পর থেকেই হঠাত্ করে যেন ভালো ব্যাবহার করতে থাকেন কদম রসুল।  রাতে স্ত্রীর চোখ লাগতেই মুখে বালিশ চাপা দিয়ে পিংকিকে  মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে।


আরও পড়ুন: তিন ছেলের বিয়ে দিয়েছেন, ঘরে নাতি রয়েছে, তবুও স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ করতেন স্বামী! পরিণতি


ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। সিউড়ি থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে  দেহ উদ্ধার করে এবং  ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আটক করা হয়েছে স্বামীকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ।