নিজস্ব প্রতিবেদন:   বন্ধু ভালোবাসতেন তাঁরই পাড়ারই এক মেয়েকে। কিন্তু ওই তরুণীর পরিবার মেনে নিচ্ছিল না বন্ধুকে। অতঃপর পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত। আর বন্ধুকে একাজে সাহায্য করেছিলেন তিনি। সেই ‘অপরাধ’এই তরুণীর পরিবারের হাতে প্রহৃত হতে হল যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছে  নদিয়ার রানাঘাটের রামনগর সন্ন্যাসী বাজার এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবক এখন রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 রামনগর সন্ন্যাসীবাজার এলাকার বাসিন্দা গৌরব ও দেবরাজ দেবনাথ অনেক পুরনো বন্ধু। অভিযোগ, রামনগর বিলের বাসিন্দা বাবুল দেবনাথের মেয়ের প্রেমে পড়েন গৌরব। কিন্তু গৌরবকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি তরুণীর পরিবার। তাঁরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।


আরও পড়ুন:  পাড়ার পুজোর প্যান্ডেলের ভিতর চোখ যেতেই জ্ঞান হারালেন স্থানীয় বাসিন্দারা! ভয়ঙ্কর দৃশ্য


মেয়ের প্রেম করছে জানতে পেরেই, তরুণীর পরিবার কড়া নজরদারি শুরু করে। তাকে বাড়ি থেকে একা বেরোতে দিত না। গৌরবের সঙ্গে প্রায় দেখা করাই বন্ধ করে দিয়েছিল তরুণীর পরিবার। বিষয়টি সবটাই জানতেন দেবরাজ। বন্ধুকে সাহায্য করার আশ্বাস দেন দেবরাজ।  নির্দিষ্ট দিনে তরুণীকে তার বাড়ি থেকে বের করে এনে গৌরবের হাতে তুলে দেন দেবরাজ। পরে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করা পর্যন্ত গৌরব ও ওই তরুণীর পাশেই থাকেন তিনি।


বিষয়টি জানতে পারে তরুণীর পরিবার। মেয়ের বিয়ে কোনওভাবে মেনে নিতে পারেননি তারা। আর এসবের জন্য দেবরাজকে দায়ী করতে থাকেন তাঁরা।  রবিবার সন্ধ্যায় দেবরাজ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে দোকানে গিয়েছিলেন জামাকাপড় কিনতে।  অভিযোগ, তখনই দেবরাজের ওপর চড়াও হন তরুণীর পরিবারের সদস্যরা।


আরও পড়ুন: দেবীপক্ষের সূচনাতেই শেষ হয়ে গেল আরও এক রাধা! চরিত্র নিয়ে প্রতিবেশীদের অপবাদই কেড়ে নিল একটা প্রাণ


দেবরাজকে বাজার থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। সেখানেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।  এরপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।


দেবরাজের শরীরের একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বাধা দাগ রয়েছে।  তাঁকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দেবরাজের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবলু দেবনাথ, তাঁর স্ত্রী-সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।