নিজস্ব প্রতিবেদন:  প্রোফাইল পিকচার দেখে বেশ ভালো লেগেছিল। তাই বন্ধুত্বের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন।  ‘হাই’, ‘হ্যালো’ দিয়ে শুরু হয় কথাবার্তা। বন্ধুত্ব গাঢ় হতে বেশি সময় লাগে না। কিন্তু মাস খানেক পর দুজনের বুঝতে পারেন, বিষয়টি আর শুধু বন্ধুত্বে নেই। সম্পর্ক রং হয়েছে আরও গাঢ়। ফেসবুকেই বন্ধুত্ব-প্রেম, কিন্তু এই সম্পর্কের পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। ফেসবুকে পরিচিত চন্দননগরের সম্বর চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রেমের মাশুল গুনতে হল আসানসোলের এক মহিলাকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চন্দননগর ফটক গোড়ার বাসিন্দা সম্বর চক্রবর্তী। বছর খানেক আগে  ফেসবুকের মাধ্যমে আসানসোলের এক  মহিলার সাথে পরিচয় হয় সম্বরের। কিছু মাস কথা বলার পরই তাঁদের প্রেম হয়। ওই মহিলার সঙ্গে একাধিকবার দেখাও করেন সম্বর। মহিলা যে অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের, তা ভালোই বুঝতে পেরেছিলেন সম্বর।


আরও পড়ুন: শিক্ষিকার বাড়ি জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই প্রতিবেশী ভাড়াটে যুবককে যে অবস্থায় দেখলেন...


অভিযোগ, কয়েক মাস আগে সম্বর ওই মহিলার কাছে ব্যবসা করার জন্য টাকা চান। সম্বরকে বিশ্বাস করে মহিলা সেই টাকা দিয়েও দেন। এরপর থেকে বেশ কয়েকবার ধাপে ধাপে একই কারণ দেখিয়ে সম্বর টাকা নেন। এই ভাবে গত কয়েক মাসে কয়েক ক্ষেপে ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা নেন সম্বর।


মহিলা বিশ্বাস করে সম্বরকে টাকা দিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্বর যে তাঁর সঙ্গে এই ভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন, তা বুঝতে পারেননি। মাস তিনেক আগে থেকে মহিলার বিষয়টি নিয়ে খটকা লাগে। ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন সম্বর।


আরও পড়ুন: জেলাশাসকের দফতরে মাটিতে বসে সরকারি কর্মী, প্রশ্ন করতেই যা জানালেন...সরকারি দফতরে এমনও হয়!


আগে যেখানে দিনে কয়েক ঘণ্টা কথা হত দুজনের, সেখানে কয়েক মিনিটও কথা বলতে চাইতেন না সম্বর। টাকার প্রসঙ্গ উঠলেই ঝামেলা করে ফোন কেটে দিতেন। এই ভাবে মহিলার ফোন ধরাই বন্ধ করে দেন সম্বর।


এরপরই ওই মহিলা আসানসোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।গতকাল  আসানসোল থানা ও চন্দননগর থানার পুলিশ সম্বরের ফটক গোড়ার বাড়িতে হানা দেয়।সেখান থেকেই সম্বরকে  হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিস। আসানসোল থানার পুলিশ যুবককে গ্রেফতার করেছে।