Abhishek Banerjee: `RSS-র লোকজন এসে বলছে, এই কাজটা করে দিন... মানুষ এখন বুঝছে`
আসানসোলের জামুড়িয়ার হিন্দিভাষী মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে অভিষেক। সঙ্গে সাংসদ শক্রঘ্ন সিনহা।
প্রবীর চক্রবর্তী: 'RSS-র লোকজন এসে বলছে, এই কাজটা করে দিন। মানুষ এখন বুঝছে'। জনসংযোগ যাত্রায় আসানসোলের জামুরিয়ায় গিয়ে বললেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। সঙ্গে বার্তা, 'হিন্দু হোক বা মুসলমান এই দেশ সকলের। কেউ যদি ভাবে যা চাইব তাই করব তা হবে না। সব উৎসব পালন করুন। রিস্তো কা বন্ধন দিল্লি, বা গুজরাটের নেতা এসে ভাঙতে পারবে না। গায়ে একটাও আঁচ পড়বে না'।
তৃণমূলে নবজোয়ার। জনসংযোগ যাত্রায় পশ্চিম বর্ধমানে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক। এদিন পাণ্ডবেশ্বরের জনসভা থেকে নাম না করে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, 'সবচেয়ে বড় কয়লা চোর এই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক। হেরে গিয়ে দলে ফেরার চেষ্টা করেছিল। বেইমানি করে আবার দলের ফিরবে, তা হবে না। আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে যেতে হবে'।
আরও পড়ুন: Egra Blast, FIR: এগরাকাণ্ডে FIR-এ নেই বিস্ফোরক আইনের ধারা!
বিকেলে অভিষেক যান আসানসোলের জামুড়িয়ায়। স্রেফ ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা নয়, স্থানীয় হিন্দিভাষী মানুষের সঙ্গে জনসংযোগও সারেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। একসঙ্গে বসে দু'জনকে লিট্টি-চোখা খেতেও দেখা যায়।
অভিষেক বলেন, 'জলের সমস্যার কথা শুনেছি। আমি বলেছি, সমস্য়া মিটে যাবে। লোকের সাথে কথা বলতে বলতেই আসছি। তাদের চাহিদার কথা শুনছি'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'বিজেপির লোকও এসে বলছে, তাদের কী চাই। আর এস এসের পোষাক পরেই তো এসে কথা বলছে। দিল্লির সরকারের উপর ভরসা নেই। ওরা জানে,আমার যে ডবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে দিল্লিতে। সেটা নামেই ডবল ইঞ্জিন, আসলে ট্রাবল ইঞ্জিন'।`
জনসংযোগ যাত্রায় তখন পূর্ব বর্ধমানে ছিলেন। জামালপুর থেকে রায়না যাওয়ার পথে অভিষেকের গাড়ি থামান এক যুবক। তৃণমূল সাংসদের কাছে এলাকার সমস্যার কথা জানান তিনি। শুধু তাই নয়, ওই যুবকের পরনে ছিলেন RSS-র পোশাক! সেই ঘটনা কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।